সুমন,মোংলা(বাগেরহাট)সংবাদ দাতা: মোংলায় হঠাৎ জেঁকে বসা শীতের কারণ দুর্ভোগে পড়েছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছিন্নমূল মানুষেরা পড়েছে বেশি বিপাকে। শীত তাড়াতে তাদের অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে সাময়িকভাবে একটু প্রশান্তি খোঁজার চেষ্টা করছে। দরিদ্র ও শ্রমজীবীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। শীতের সঙ্গে মৃদু ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। শুক্রবার সূর্যের মুখ দেখা যায়নি তেমনটা। এ ছাড়া সন্ধ্যার পর ছিন্নমূল মানুষগুলোকে পথের ধারে খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা যায়।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর পৌর শহরের শ্রম কল্যাণ রোড, ট্রেডাস মসজিদ রোড সহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশে খরকুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে খেটে খাওয়া মানুষদের।
এদিকে হিমেল হাওয়া আর কুয়াশা প্রবাহে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয় এবং ছিন্নমূল মানুষেরা। প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে তারা দুর্ভোগে পড়েছে। শীত নিবারণের জন্য কম দামে শীতবস্ত্র কিনতে নিম্ন এবং মধ্যবিত্তরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে ফুটপাতের দোকানগুলোতে। বিশেষ করে ছিন্নমূল এবং নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোতে শিশু ও বয়স্করা বিপাকে পড়েছে। গরম কাপড় না পাওয়ায় শীতে আক্রান্ত হয়ে অনেকে অসুস্থ হয়েও পড়ছে। ফলে বাড়ছে শীতজনিত রোগের মাত্রাও।
তবে সরকারি, বেসরকারি বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে এখনো শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়নি। ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ। আগামী কয়েক দিনে শীত আরো বাড়লে এসব মানুষের ভোগান্তিও বাড়বে ব্যাপক হারে।
পৌর শহরের শ্রম কল্যাণ রোড এলাকার বাসিন্দা সালমা বেগম বলেন, ঠান্ডায় ও বাতাসের কারণে বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে আমরা খুব কষ্টে আছি। আমরা আগুন পোহাচ্ছি। আগুন যত সময় পোহাচ্ছি তত সময় ভালো আছি আগুন থেকে উঠে গেলে আমাদের কষ্ট হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত আমরা কোন সাহায্য সহযোগীতা পাইনি। আমাদের লেপ তশক ফ্রি দিতে পারেন না?
আরেক বাসিন্দা বলেন, আমরা এখনো পর্যন্ত শীতের কোন সাহায্য পাই নাই। তাই আমরা এখানে আগুন পোহাচ্ছি।
ভ্যান চালক সহিদ বলেন,শীতে ভ্যান চালাতে খুবই কষ্ট হয়। ভোরে ভ্যান চালাতে পারিনা শীতের কারণে।
মোংলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ হারুন অর রশিদ বলেন, শুক্রবার মোংলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার বিষয়ে মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ণ চন্দ্র পাল বলেন, সরকারিভাবে মোংলা উপজেলায় কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে দ্রুত তা বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হবে।