মাছুম মিয়া রূপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হাইওয়ে সড়কের উপর ময়লার ভাগাড়ে পরিবেশ বিপর্যয় হচ্ছে। হাইওয়ে সড়কে ময়লার ভাগাড় পরিস্কার করতে কেউ দায়িত্ব নেয়া হচ্ছে না বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন।
সরেজমিনে দেখা যায় রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল গাউছিয়া মাছের আড়ৎ এলাকায় গাজীপুর চট্টগ্রাম এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের উপরে বিশাল ময়লার ভাগাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ ময়লার ভাগাড়ের দুর্গন্ধে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রী এমন কি এ রোডে চলাচলরত যাত্রী ও পথচারীসহ সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় ভুলতা গাউছিয়া এলাকায় একদিকে কাঁচামালের আড়ৎ, মহাসড়কের উপর কাঁচাবাজার, হোটেল রেস্তোরা সহ গাউছিয়া এলাকার সকল ময়লা আবর্জনা এমন কি বাড়িঘরের আবর্জনা হাইওয়ের দুই লেন দখল করে লেনের উপরেই ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা। আর এই বর্জ্যে সৃষ্টি হচ্ছে ময়লার ভাগাড়, ময়লার দুর্গন্ধে রাস্তায় চলাচলকারী লোকজনকে নাকে রুমাল বা কাপড় চেপে চলাচল করতে হচ্ছে। এখানে রয়েছে বাংলাদেশের আলোচিত ভুলতা গাউছিয়া কাপড়ের মার্কেট। সারাদেশের হাজার হাজার ব্যবসায়ী প্রতি সোমবার ও মঙ্গলবার এ কাপড়ের হাটে আসেন। তারা সকলেই পড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। এখানে রয়েছে ডজনখানেক
হাসপাতালের রোগীসহ স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থী।
স্থানীয় কাঞ্চন এলাকার ওবায়দুর রহমান খোকন বলেন, হাইওয়ে সড়কের উপর ময়লার ভাগাড় দীর্ঘদিন ধরে আছে। প্রতি দিনই ঢাকা সিলেট মহাসড়কের ফুটপাতের ময়লা, এলাকার হোটেল রেস্তোরা, হাসপাতালের জমানো ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এসকল ময়লা আবর্জনা পরিস্কারের স্থায়ী কোন ব্যবস্থা না থাকায় কয়েক দিন পর পর এখানে ময়লা আবর্জনায় সৃষ্টি হচ্ছে ময়লার ভাগাড়।
গাউছিয়া এলাকায় সেনেটারী মার্কেটের ব্যবসায়ী সৈয়দ মাসুদ পারভেজ বলেন এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন আমাদের চলাচল করতে হয়। ময়লার দুর্গন্ধ অনেক খারাপ লাগে। এখানে এসেই নাক মুখ চেপে ধরে রাস্তা পার হই। মসজিদে মুসল্লিরাও নামাজ পড়তে গেলে ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধ শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্ষতি হচ্ছে।
আমরা দেখেছি সাংবাদিকেরা জন দুর্ভোগ নিয়ে লেখেন কিন্তু স্থায়ীভাবে কোন সমাধান হয় না। আমরা স্থায়ী সমাধান চাই।
গাউছিয়া মার্কেটের ভাই ভাই মোটরসের খালেক পাটোয়ারী বলেন দোকানের বসে ব্যবসা করা খুবই কষ্টকর। এখানকার ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে দোকানে বসে ব্যবসা করা দূরহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বলাইখা এলাকার ফয়সাল মিয়া ও গোলাকান্দাইল এলাকার বাসিন্দা নাঈম বলেন, শুনেছি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার মহাসড়কের উপর ময়লা ফেলার বিষয় বিধি-নিষেধ দিয়েছে। কিন্তু ইউএনও এর নির্দেশনা অপেক্ষা করে
হাইওয়ে সড়ক ও মহাসড়কের উপরে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। রাস্তা দিয়ে দুর্গন্ধের কারণে সকলের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।
ময়লা আবর্জনা অপসারণের বিষয় গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম ভুইয়া বলেন মহাসড়কের পাশে ৫ বিঘার একটা ফাঁকা জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে, এরপর থেকে ওই ফাকা জায়গায় ময়লা আবর্জনা ফেলা হবে। এমনই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে।
সচেতন মহল মনে করেন লোকালয় থেকে দূরে কোথাও এই ময়লা পরিবেশসম্মত উপায়ে সংরক্ষণ করা উচিত। সম্ভব হলে এগুলোকে রিসাইকেল করেও জৈব শক্তিতে রূপান্তর করা যেতে পারে।