ওয়েব ডেস্ক: বর্তমান সরকারকে ‘ডামি’ আখ্যা দিয়ে জনগণ এই ‘ডামি সরকার’ মানে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজীর দেউড়ি সংলগ্ন বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে কালো পতাকা মিছিলের আগে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, শহীদ জিয়া জিতেছেন, খালেদা জিয়া জিতেছেন। ওই একই পথ ধরে তারেক রহমানের নেতৃত্বেও আমরা জিতবো। এজন্য জনতার এই আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে হবে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি ও অবৈধ সংসদ বাতিলের এক দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি যৌথভাবে এ কালো পতাকা মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে শেষে নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে, হাতে কালো পতাকা নিয়ে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু করে লাভ লেইন, এনায়েত বাজার, জুবলী রোড় হয়ে তিন পুলের মাথায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে মিছিলটি শেষ করে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ২০১৪ সালে এ সরকারকে বলা হতো বিনাভোটের সরকার। কারণ, তিনশোর মধ্যে ১৫৩টি আসনে কোনো প্রার্থী ছিল না। ২০১৮ সালে বলা হতো রাতের ভোটের সরকার। এবার বলা হচ্ছে ডামি সরকার। কেউ কেউ বলে- আমি, ডামি ও স্বামী।
তিনি বলেন, ডামি সরকার কি আসল সরকার হয়? এই সরকার টিকতে পারে না। এই সরকারের টিকে থাকা উচিত নয়। কারণ, এই সরকারকে জনগণ ভোট দেয়নি। তাই আমি, ডামি ও স্বামীর সংসদ বাতিল করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে রাতের বেলাতেও আদালত খোলা রেখে শত শত নেতাকর্মীকে দণ্ড দেওয়া হলো। এসময়ে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অন্তত ১৫শর বেশি নেতাকর্মীকে সাজা দেওয়া হয়েছে। অন্যায়ভাবে তাদের দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
নজরুল ইসলাম বলেন, ভোটের আগে এ সাজা বিরোধী নেতাকর্মীদের ভয় দেখানোর জন্য। কিন্তু আমরা ভয় পাইনি। বাংলাদেশে শহীদ জিয়ার সৈনিক ও খালেদা জিয়ার কর্মীরা এসবে ভয় পায় না। সরকার গোটা দেশকে কারাগার বানিয়ে রেখেছে। বিএনপির কোনো কর্মী ওই ছোট কারগারকে ভয় পায় না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ভোট ডাকাত আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে জনগণের কোনো মূল্য নেই। তাই তারা জনগণের স্বার্থের কথা চিন্তা করছে না। নিজেদের আখের গোছানোর জন্য সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করে জনগণকে বিভীষিকাময় পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। সাধারণ মানুষ আজ পরিবার-পরিজন নিয়ে দিশেহারা।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবর রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া ও ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
আরও বক্তব্য রাখেন- উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, অ্যাড. আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান প্রমুখ।