ওয়েব ডেস্ক: কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাংলাদেশে সহিংসতা ও শেখ হাসিনা সরকারের প্রস্থানকে ঘিরে অস্থিরতার মধ্যে একটি মহলের উসকানিতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষ করে হিন্দু জনগোষ্ঠীকে টার্গেট করে মন্দির ভাঙা, অগ্নিসংযোগ, হিন্দুদের সম্পত্তি দখল, বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে একটি গোষ্ঠী।
এর প্রতিবাদ ও বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা বন্ধের দাবিতে ব্রিটেনে বসবাসরত কয়েক হাজার হিন্দু নারী-পুরুষ গত ১০ আগস্ট ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে মানববন্ধন করেছে।
পরে সেইসঙ্গে ব্রিটিশ বাঙালি হিন্দুদের পক্ষ থেকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস ও বাংলাদেশ হাইকমিশন বরাবরে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন বন্ধে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সমাবেশে হিন্দুরা বলেন, বাংলাদেশের কোনো সরকারই হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। দেশে কোনো রাজনৈতিক গোলযোগ সৃষ্টি হলেই হিন্দু বিদ্বেষী একটি মহল হিন্দুদের ওপর হামলা চালায়। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। সেই ১৯৭৫, ২০০০, ২০১৩-২০১৪, ২০১৮ সালে সারা দেশে হিন্দুরা হামলার শিকার হয়।
সমাবেশে সনাতন অ্যাসোসিয়েশন ইউকে, বাংলাদেশ হিন্দু অ্যাসোসিয়েশন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ইউনিটি, জগন্নাথ হল এলমনাই অ্যাসোসিয়েশন, পূজা উদযাপন কমিটি, সেইভ মাইনরিটিস ইন বাংলাদেশ, বেঙ্গলি খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনসহ ২০টিরও বেশি হিন্দু সংগঠন এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।