ওয়েব ডেস্ক: পশ্চিমঙ্গের আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা ভারত। এ ঘটনার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গে প্রতিবাদী আন্দোলনে নেমেছেন সাধারণ মানুষ। সেই আবহে এবার পথে রাজপথে নামল পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। ‘দফা এক, দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’ স্লোগানে মৌলালি থেকে ডোরিনা ক্রসিংয়ের দিকে মিছিল বের করে দলটি।
মিছিলের নেতৃত্ব দেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারে। সেই মিছিলে যোগ দেন ‘কাশ্মীর ফাইলস’ খ্যাত পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। এছাড়া, মিছিলে ছিলেন সন্দেশখালির প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্র।
আর জি কর কাণ্ডে পাঁচ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিজেপি। বুধবার (২১ আগস্ট) শ্যামবাজারের ধর্নামঞ্চ থেকে কর্মসূচি শুরু হয়। এর পরই মশাল হাতে রাস্তায় নামেন বিজেপি নেতাকর্মীরা। এই মিছিলে যোগ দিতে মুম্বাই থেকে কলকাতা ছুটে এসেছেন বলে জানিয়েছেন বিবেক অগ্নিহোত্রী। মিছিলে রয়েছেন কৌস্তভ বাগচি, অঞ্জনা বসুরা, শঙ্কুদেব পণ্ডা, অর্জুন সিংহ, তাপস রায়ও।
এ দিন কালো টি-শার্ট পরে মিছিলে হাঁটেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু, যাতে লেখা ছিল, ‘দফা এক, দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’। আরও অনেকের পরনেই ছিল ওই টি-শার্ট। বিজেপির সাংস্কৃতিক মঞ্চ ‘খোলা হাওয়া’র পক্ষ থেকে এ দিন মিছিল বের হয়। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি ওঠে মিছিল থেকে।
এ দিন শুভেন্দু বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাস্তাটিকে অপবিত্র করে দিয়েছিলেন। আমরা আজ পবিত্র করলাম। ক্লাব, প্রতিষ্ঠান দেখেছিল, আমরা চলে এসেছি। ওদের ক্ষমতা ছিল ৫০০-৭০০। আজ হাঁটল গোটা কলকাতা। কেউ কাউকে ডাকেনি। আমাদের একটাই দাবি, দফা এক, দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ।
তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া তাপস বলেন, বাংলার সর্বত্র যা হচ্ছে, সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ। রাজনৈতিক জীবনে একসঙ্গে এত মানুষকে প্রতিবাদে নামতে দেখিনি।
কৌস্তভ বলেন, ২৭ তারিখ নবান্ন ছেড়ে পালাবে। মমতা রাজ্যকে শান্ত রাখতে চাইলে, রাজ্যের মঙ্গল চাইলে, হেলিকপ্টার, বিমান রেডি রাখুন। নবান্নর ছাদ থেকে চেপে পালান। শেখ হাসিনা যেভাবে বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছিলেন, মমতাকেও বাংলা ছেড়ে পালাতে হবে।
অর্জুন বলেন, ২৭ তারিখে নবান্ন ছেড়ে পালাতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
মিছিলে বিবেক অগ্নিহোত্রী জানান, আর জি করের ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে শামিল হতেই শহরে এসে পৌঁছেছেন তিনি। আর জি কর কাণ্ডে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের সবার আবেগ জড়িয়ে। সুপ্রিম কোর্ট ঠিক করেছে। সময় এসেছে বাংলাকে আবার মহান, নিরাপদ জায়গা করে তোলার। কলকাতায় এমন হলে, গ্রামে কী হচ্ছে জানি না আমরা। আমার মতো মানুষ, যাদের কিছুটা হলেও প্রভাব রয়েছে, বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে আসা উচিত, যাতে সবার কাছে বার্তা পৌঁছায়। মুখ্যমন্ত্রী নিজের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন দেখে আশা হারাই আমি। বাংলা শেষ হয়ে যাবে আশঙ্কা থেকেই ছুটে এসেছি।