বগুড়ার সংবাদদাতাঃবগুড়ার দুপচাচিয়া উপজেলায় পশুর হাটে মানুষের বিরাট ঢল নেমেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বেচাকেনা পুরোদমে চলছে কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই মানছেনা।
কোরবানির ঈদ (ঈদুল আযহা) যত এগিয়ে আসছে বগুড়ার হাটগুলোতে মানুষের ভিড় ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ ২৫ জুন দুপচাচিয়া উপজেলার ধাপেরহাট এ গিয়ে দেখা যায় যে, হাটে প্রচুর পরিমান পশু উঠেছে এবং পাশাপাশি প্রচুর পরিমান লোক সমাগম হয়েছে। কোরবানি ঈদ উপলক্ষে বেচাকেনা জমে উঠেছে। কিন্তু লক্ষ্য করা গেছে যে হাটে আগত ক্রেতা বিক্রেতা উভয়পক্ষই কোনপ্রকার স্বাস্থ্যবিধি মানছেনা। সামাজিক বা শারীরিক দুরত্ব মানা দূরে থাক অনেকেই মাস্ক এর মতো গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ব্যবহার করছেনা।
স্বাস্থ্যবিধি যে মানা হচ্ছেনা এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জেলা প্রশাসক মহোদয় জানিয়েছেন যে, এই মুহুর্তে সরকারের হাটবাজার নিয়ে স্পষ্ট কোনওপ্রকার নীতিমালা না থাকার কারনে আপাতত স্বাস্থবিধি মেনে এগুলো এভাবেই চলবে। উল্লেক্ষ্য থাকে যে, ইতোমধ্যে বগুড়ার ৯ টি এলাকা রেডজোন ঘোষণা করা হয়েছে। হাট সংলগ্ন স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে যে, তারা অত্যন্ত আতংকগ্রস্থ হয়ে পরেছেন।
হাটের একজন ইজারাদারের সঙ্গে কথা বললে উনার বক্তব্য হচ্ছে, স্বাস্থবিধি মেনে হাট চালানোর চেস্টা তারা করছেন। কিন্তু মানুষের উপচেপড়া ভিড়ের কারনে তা সবসময় মানা সম্ভব হচ্ছেনা। তারা আরও বলেন যে তারা এযাবৎ অনেক আর্থিক ক্ষতির মুখে পরেছেন, এই মুহুর্তে তারা যদি হাট চালিয়ে নিতে না পারেন তাহলে তাদের অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
ঈদের এখনও প্রায় মাস খানিক বাকী আছে। এই পরিস্থিতিতে সচেতন নাগরিকদের চাওয়া যে, এখনই যদি এই হাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি উভয়পক্ষেরই জন্যে সুবিধাজনক পরিবেশ না তৈরী করা যায় তাহলে বগুড়ায় যে ব্যাপকভাবে সংক্রমন হচ্ছে তা কোনওভাবেই ঠেকানো সম্ভব নয়। আর ক্ষতি হয়ে যাবার আগেই শুরুতেই এসব বিষয়ে নজর দেওয়া উচিৎ বলে বিশ্লেষক ও সচেতন নাগরিকেরা মনে করেন।