দেশের সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস এ সময়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছে পরিবহন শ্রমিক।
এই দুর্যোগের সময়ে যখন কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না , সকলকে করোনা ঠেকাতে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে কিন্তু এ সময় শুধু পণ্যবাহী গাড়ি এই ভাইরাসের আওতামুক্ত থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পণ্যবাহী গাড়ি চালাচ্ছে
বিভিন্ন ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানের চালক ও সহকারীরা , তারা জীবন ও যানের ঝুঁকি নিয়ে চলছে উত্তরবঙ্গ থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় কাঁচামাল সহ খাদ্য সামগ্রী ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছায় দিতে ।
নভেল করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে চলমান লকডাউন পরিস্থিতিতে দেশে বন্ধ খাবার হোটেল, কনফেকশনারির দোকান । আর তাই মহাসড়কে
পণ্যবাহী গাড়ির চালক , সহকারীরা না খেয়ে এ ভাবেই গাড়ি নিয়ে ছুটছে বিভিন্ন জেলায়। এই শ্রমিকদের নিয়ে কারো কোনো ধরণের উদ্দ্যেগ নেই।
আর এ সময়ে এই পণ্যবাহী গাড়ির চালক , সহকারীদের পাশে এসে দাঁড়ালো রংপুর জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী, কার্ভাডভ্যান ও ট্রাক্টর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম।
রবিবার (১২ এপ্রিল ) দুপুর ২ টার দিকে রংপুর নগরীর ৩২নং ওয়ার্ডের অন্তগত দমদমা ব্রীজ সংলগ্ন বধ্য ভূমির সামনে রংপুর – ঢাকা মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়ির চালক , সহকারীদের ভাইরাস প্রটেক্টেড ফুড বক্স মাধ্যমে খাবার বিতরণ করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম।
এ সময় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জনাব মোহাঃ আবদুল আলীম মাহমুদ বিপিএম মহোদয়ের অনুমতিক্রমে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ খাবার বিতরণে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
রংপুর জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী, কার্ভাডভ্যান ও ট্রাক্টর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম বলেন, পরিবহন শ্রমিকদের খাদ্য নিশ্চয়তার দাবি জানাচ্ছি আর বলতে চাই এই দুর্যোগের সময় যদি পণ্যবাহী ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান ড্রাইভার, হেলপাররা মহা সড়ক পথে খাবার না খেতে পারে আর এ ভাবে চলতে থাকলে একসময়ে দেখা যাবে স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে গাড়ী চালাতে রাজি হবে না। এতে সারা দেশে কাঁচা মাল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী সংকট দেখা দিবে।
তাই আমাদের সকল পরিবহন মালিক সহ সকলকে এগিয়ে আসতে বলবো বা
এই শ্ৰমিক ভাইদের জন্য বিকল্প ভাবে খাবার ব্যবস্থা করা হোক।
আশরাফুল আলম আরো বলেন , রংপুর জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী, কার্ভাডভ্যান ও ট্রাক্টর মালিক সমিতির ওয়েবসাইট রয়েছে (www.rangpurzillatruckmaliksamity.com) সেখানে মোবাইল নাম্বার দেওয়া আছে যদি কোনো চালক , সহকারীরা মনে করে তাদের খাবার দরকার ইনশাল্লাহ আমি তাদের ব্যবস্থা করবো। আজ ২০০ শত চালক , সহকারীদের খাবার দিয়েছি আর আমার মোবাইল নাম্বার ও দেয়া হয়েছে।
এই ভয়াবহ দুর্দিনে অসহায় পরিবহন শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে স্ব-স্ব পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনসমূহের নেতাদের কাছে জোর দাবি জানান তিনি।