আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরান-ইসরায়েলের সংঘাতের অবসানে আলোচনার সুযোগ দিতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার মতে, এই আলোচনাই কেবল একমাত্র পথ।
জেনেভায় ইউরোপীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সংলাপের বিষেয়ে ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক সূত্র বিবিসির প্রধান আন্তর্জাতিক সংবাদদাতা লাইস ডুসেটের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা বলেছে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচির সাথে বসতে যাওয়া ইউরোপের মন্ত্রীরা মার্কিন পরিকল্পনার ওপরই আজ আলোকপাত করবেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফের কাছ থেকে পাওয়া ‘স্পষ্ট বার্তা’ পৌঁছে দেবেন তারা। একটি সূত্র লাইস ডুসেটকে বলেছে, এটা সম্পূর্ণ শূন্যের পথে।
নিজের পারমাণবিক সক্ষমতা বৃদ্ধির সব প্রক্রিয়া বন্ধ করাই ইরানের শেষ উপায়। এমনকি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার জন্য দেশটির বাইরে একটি আঞ্চলিক কনসোর্টিয়াম তৈরির প্রস্তাবের বিষয়টিও একই।
ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাঈদ খাতিবজাদেহ বৃহস্পতিবার বিবিসিকে বলেছিলেন, ইসরায়েল তাদের সামরিক আগ্রাসন সেই মুহূর্তে শুরু করেছিল, যখন চুক্তিতে পৌঁছানোর দ্বারপ্রান্তে ছিল ইরান।
ইরান মনে করেন, কূটনৈতিক প্রক্রিয়াটি ধ্বংস করাই ছিল ইসরায়েলের মূল লক্ষ্য।
খাতিবজাদেহ জোর দিয়ে বলেন, যে মুহূর্তে এই আগ্রাসন বন্ধ হবে, অবশ্যই কূটনীতিই হবে প্রথম বিকল্প। আজ এটিই তেহরানের প্রধান দাবি থাকবে। কারণ উভয় পক্ষই সংঘর্ষ থামানোর পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।