শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন
 
							
							 
                    ওয়েব ডেস্ক: দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা ও চাঁদাবাজির সুস্পষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে শেরপুর জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হোসেন আলীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় যুবদল।
শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মো. নূরুল ইসলাম নয়নের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় হোসেন আলীকে যুবদল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
হোসেন আলীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের পর জেলা ও পৌর যুবদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
শেরপুর শহরের এক ব্যবসায়ী বলেন, “অনেকদিন ধরেই হোসেন আলীর নানা কর্মকাণ্ডে সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছিল। এ সিদ্ধান্ত বিএনপির প্রতি আমাদের আস্থা ফিরিয়ে এনেছে।”
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আতাহারুল ইসলাম আতা বলেন, “কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয়। তার কর্মকাণ্ডে আমরা অতীতে বারবার বিব্রত হয়েছি। বহুবার সতর্ক করেও কোনো ফল হয়নি।”
সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক পারভেজ আহমেদ বলেন, “চাঁদাবাজির অভিযোগে অভিযুক্ত কারও যুবদলে থাকার সুযোগ নেই। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত অভ্যন্তরীণ শুদ্ধি অভিযানে সাহস জুগিয়েছে।”
জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক হযরত আলী বলেন, “অপরাধ করে কেউ দলের ছত্রছায়ায় থাকতে পারে না। এই বহিষ্কার প্রয়োজনীয় এবং স্বস্তিদায়ক।”
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ পলাশ বলেন, “দলীয় পরিচয়ের অপব্যবহার করে কেউ অপরাধ করলে ছাড় দেওয়া হবে না। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত আমাদের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করেছে।”
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম বলেন, “রাজনীতিতে আদর্শ, নীতি ও শৃঙ্খলাকে প্রাধান্য দিতে হবে। যুবদলের এ সিদ্ধান্ত ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। বিএনপি বড় একটি দল, কেউ অপরাধ করলে তার দায় দল নেবে না।”
নেতারা জানান, চাঁদাবাজিসহ যেকোনো ধরনের অপকর্মে জড়িতদের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।