শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন
 
							
							 
                    ওয়েব ডেস্ক: ফরিদপুরে পাসপোর্ট করতে এসে স্থানীয় দুই জন দালাল এবং স্বামী-স্ত্রীসহ তিন জন রোহিঙ্গা আটক হয়েছেন। আজ রোববার বিকেল ৩টার দিকে ফরিদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
তিন রোহিঙ্গা সদস্য হলেন,আব্দুস সোবাহান (৭৫) তার স্ত্রী হাসিনা বেগম (৪৫) ও তাদের জামাতা মো. তৈয়ব (৩০)। এদের বাড়ি কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলার মারিগোলা গ্রামে।এর মধ্যে আব্দুস সোবাহান ও হাসিনা বেগেম পাসপোর্ট করতে এসেছিলেন তাদের নিয়ে এসেছিলেন তাদের জামাতা।
স্থানীয় যে দুই দালালকে আটক করা হয়েছে তারা দুইজনই ফরিদপুর শহরের কমলাপুর মহল্লার বাসিন্দা। এদের একজন ওই মহল্লার চাঁনমারি এলাকার সিয়াম আহমেদ (২৭) এবং অপরজন বটতলা এলাকার রাশেদ খান (৩০)।
জানা গেছে, সোবাহান ও হাসিনার পাসপোর্ট করে দেওয়ার জন্য ওই দুই দালাল চুক্তিবদ্ধ হয়। এর আগে তাদের খরচ বাবদ ১৫ হাজার টাকা দেয় আব্দুস সোবাহান। আজ রবিবার ফরিদপুরে এসে বাকি ১৫ হাজার টাকা দেন। কিন্তু দুই দালাল তাদের পাসপোর্ট করার প্রক্রিয়া শুরু না দিয়ে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা শুরু করেন। রোহিঙ্গা সদস্যরা এর প্রতিবাদ জানালে দুই দালাল এক পর্যায়ে জামাতা মো. তৈয়বকে মারপিট শুরু করে। পরে তৈয়ব দৌড়ে পাসপোর্ট অফিসে ঢুকে আনসার সদস্যদের সাহায্য চান।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ আহাদুজ্জামান বলেন, এরা রোহিঙ্গা হলেও বহুপূর্বে বাংলাদেশে এসেছেন। তারা পাসপোর্ট করতে এসে প্রতারকদের খপ্পড়ে পড়েছেন।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন,স্থানীয় দুই দালাল এবং স্বামী-স্ত্রীসহ তিন রোহিঙ্গা সদস্যকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি বলেন,ওই রোহিঙ্গারা যদি কোন ক্যাম্পের সদস্য হন তাহলে তাদের সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আর কোন ক্যাম্পের সদস্য না হলেও তাদেরকে নিজ আবাসনস্থলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আর স্থানীয় দু্ই দালালের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।