প্রত্যয় স্পোর্টস ডেস্ক: এশিয়ার ক্রিকেট দলগুলোর কাছে ইংলিশ কন্ডিশন বরাবরই চ্যালেঞ্জিং। পারফরম্যান্সে ‘উনিশ-বিশ’ হলেই খেতে হয় নাকানিচুবানি। কঠিন এমন মিশনেই এবার পাকিস্তান ক্রিকেট দল। যেমনটা অকপটে মেনে নিলেও ইংল্যান্ড জয়ের স্বপ্নই দেখছেন আজহার আলী।
ইংল্যান্ডের মাটিতে পাকিস্তান সবশেষ সিরিজ জিতেছে দুই যুগ আগে। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, ১৯৯৬ সালে। এরপর ২০১৬ ও ২০১৮ সালে ইংল্যান্ড সফরে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সাফল্য ড্র (সিরিজ)। এবার আরেক ধাপ এগিয়ে ট্রফি নিয়ে ফিরতে চান আজহার। পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়কের মতে, ব্যাটসম্যানরা লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিতে পারলে তার বোলাররা সক্ষম ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে। এক কথায়, বোলিং আক্রমণের ওপর পূর্ণ আস্থা আজহারের।
ইংলিশদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। সফর শুরু হবে লম্বা ফরম্যাটের সিরিজ দিয়ে, ৩০ জুলাই লর্ডসে প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হবে দু’দল। পরের দুই টেস্ট শুরু হবে যথাক্রমে ৭ ও ২০ আগস্ট। একই মাসের ২৯ তারিখ ইংল্যান্ড-পাকিস্তান লড়বে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে, ভেন্যু লিডসের হেডিংলি। ৩১ আগস্ট কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন্সে দ্বিতীয় ম্যাচের পর সিরিজের শেষ খেলা গড়াবে সাউদাম্পটনের রোজ বোলে, ২ সেপ্টেম্বর।
এই দুই সিরিজকে সামনে রেখেই রোববার ইংল্যান্ডের উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। তার আগে দল এবং নিজের প্রত্যাশার কথা টেস্ট অধিনায়ক তুলে ধরেন ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে, ‘ইংল্যান্ডে ব্যাটিং করা সবসময়ই কঠিন। তবে গত সফরে আমরা সেখানে ভালো করেছিলাম। ঘরের মাঠে শেষ টেস্টে আমাদের ব্যাটসম্যানরা বেশ কয়েকটি সেঞ্চুরি করেছে, আমার মনে হয় তারা এখনও আত্মবিশ্বাসী। ইংল্যান্ডে দল হিসেবে তিনশ ছাড়ানো সংগ্রহ গড়তে পারলে আশা করি, আমরা ভালো করব।’
এদিকে শাহিন শাহ আফ্রিদি, মুসা খান, নাসিম শাহদের এটাই প্রথম ইংল্যান্ড সফর হলেও তরুণদের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখছেন আজহার, ‘আমার বিশ্বাস, আমাদের পেস ও স্পিন আক্রমণ ইংল্যান্ডকে প্রতিটি রানের জন্য ভোগাবে। শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ কিংবা মোহাম্মদ হাসনাইনের মতো তরুণ পেসারদের দারুণ সম্ভাবনা আছে ইংলিশ কন্ডিশনে ভালো করার। একই সঙ্গে দলে আছে কয়েকজন অভিজ্ঞ বোলার।’
অন্যদিকে বলে থুথু ব্যবহার নিষিদ্ধের ঘটনায় কোনো সমস্যা দেখছেন না আজহার, ‘আমার মনে হয় না এটা কোনো বড় সমস্যা। পেসাররা অনেক ঘামে আর ডিউক বলে মোমের আস্তর অনেক। ফলে বল লম্বা সময় ধরে চকচক করে। আর এটা ঘাম দিয়েও চকচকে রাখা যায়। ইংল্যান্ডে বোলাররা ডিউক বলে এমনিতেই মুভমেন্ট পায়। আর থুথু ব্যবহার না করার মানে হলো বোলারদের রিভার্স সুইং করানোর চেষ্টা আরও বেশি করে করতে হবে।’