বগুড়ার সংবাদদাতাঃ ঔষধের দোকানের অন্তরালে মাদক বিক্রি করে আসছিলো বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ট্যাংড়া মাগুর নামক স্থানের “দি ইসলামিয়া চিকিৎসালয় ” নামের এক দোকানী। পাশাপাশি উক্ত দোকানের নিবন্ধন না থাকায় ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে দোকানের স্বত্বাধিকারী ইসরাফিলকে । জেলা প্রশাসনের এক ভ্রাম্যমাণ আদালত সোমবার এই কারাদণ্ড দেন। আদালত পরিচালনায় ছিলেন জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী হাকিম জিএম রাশেদুল ইসলাম ও এটিএম কামরুল ইসলাম।
এ সময় আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন র্যাব-১২ বগুড়া এর সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজ খান, জেলা ড্রাগ সুপার আহসান হাবিব এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিদর্শক।
শাজানাপুরের টেংড়া মাগুর এলাকায় ‘দি ইসলামিয়া চিকিৎসালয়’ নামে একটি ফার্মেসির অন্তরালে অ্যালকোহল (ইথাইল) বিক্রি করছেন এমন নিউজ তারা গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারেন বলে অভিযানে থাকা কর্মকর্তারা জানান। ঔষধ বিক্রির অন্তরালে বিনা লাইসেন্সে বোতলে করে অ্যালকোহল (ইথাইল) খুচরা বাজারে বিক্রি করে আসছিলেন ফার্মেসির মালিক মো. ইসরাফিল হোসেন (৭০)।
অভিযান চালানোর পরে তার কাছে প্রাপ্ত সকল ড্রাগ ও তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, কোন ধরনের নিবন্ধন নেই তার। তিনি প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে এতদিন ভুয়াভাবে ফার্মেসি চালাচ্ছিলেন। স্থানীয়দের দেয়া তথ্য অনুযায়ী- ইসরাফিল দীর্ঘদিন ধরে এ অপকর্ম চালিয়ে আসছিলেন বলে জানান কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য যে, ইতিপূর্বে ২০১৭ সালেও একই অপরাধের দায়ে ইসরাফিলের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। তখনও তার জেল জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী হাকিম কামরুল ইসলাম জানান, লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি পরিচালনা এবং খ’ শ্রেণির মাদক লাইসেন্সবিহীন বিপনন, সংরক্ষণের অভিযোগ উত্থাপিত হয় ইসরাফিলের বিরুদ্ধে , যা ঔষধ আইন ১৯৪০ এর ১৮ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ১০(ঘ) অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। অপরাধগুলো আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট আইনের ২৭ ও ৩৬(২১) ধারায় অপরাধীর বয়স বিবেচনায় তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে অবৈধ অ্যালকোহল জব্দ করে তা ধ্বংসের আদেশ দেয়া হয়।