শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২৭ অপরাহ্ন
স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে গত অক্টোবরে দুটি ম্যাচ খেলেছে ইসরায়েল। গাজায় তাদের দখলদারিত্ব ও নৃশংস হামলার প্রতিবাদে দুই ম্যাচের সময়ই বিরূপ পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছিল। দর্শকদের সেই বিক্ষুব্ধ আচরণের কারণে ফিফার শাস্তি পেয়েছে ওই দুই ম্যাচে ইসরায়েলের প্রতিপক্ষ ইতালি ও নরওয়ে।
ফিফার অক্টোবর উইন্ডোতে প্রায় দেশই দুটি করে ম্যাচ খেলেছে। ইউরোপের দেশগুলো তখন বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নেমেছিল। ওই সময় ইসরায়েল তাদের দুটি ম্যাচই খেলেছে প্রতিপক্ষের মাঠে, যেখানে বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে তাদের। ১১ অক্টোবর ওসলোতে নরওয়ের বিপক্ষে ৫-০ এবং ১৫ অক্টোবর উদিনেতে ৩-০ ব্যবধানে ইতালির কাছে হেরেছে ইসরায়েল।
দুটি ম্যাচ ঘিরেই নরওয়ে ও ইতালির মানুষদের মাঝে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ছিল। অবশ্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ইসরায়েল-বিরোধী আন্দোলন চলছে আগে থেকেই। যা পরবর্তীতে ফুটবল মাঠেও ছড়িয়ে পড়ে। উভয় দেশের দর্শকদের বিরুদ্ধেই ইসরায়েলের জাতীয় সঙ্গীত চলাকালে বিঘ্ন ঘটানোর দায় আরোপ করেছে ফিফা। সে কারণে সংস্থাটি ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশনকে ১২৫০০ সুইস ফ্রাঙ্ক (১৫৫০০ ডলার) এবং নরওয়েকে ১০ হাজার সুইস ফ্রাঙ্ক বা ১২৪০০ ডলার জরিমানা করেছে।
ফিফা অবশ্য দর্শকদের মাঠে ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে গমন এবং খেলা চলাকালে তার প্রদর্শনী কিংবা স্লোগানের জন্য কোনো শাস্তি আরোপ করেনি। ইতালির বিপক্ষে ইসরায়েলের ম্যাচের আগে সকার কমপ্লেক্সের বিপরীত রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিক্ষুব্ধ মানুষরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেন। ওই সময় তাদের হাতে বড় ব্যানার ছিল, যেখানে ইতালিয়ান ভাষায় লেখা– ‘চলুন প্রতিরোধ গড়ে তুলে জায়োনিজমকে থামাই।’ পরে বিক্ষোভরতদের মাঝে এককজন মাইক নিয়ে বক্তব্যে বলেন, ‘তোমরা কীভাবে এখনও ইসরায়েলকে (খেলার) অনুমোদন দিচ্ছ। একটি জায়োনিস্ট ও অপরাধী রাষ্ট্র কেন এখনও সকার খেলছে?’
প্রসঙ্গত, গাজায় নজিরবিহীন আগ্রাসনের দায়ে ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে নিষেধাজ্ঞার কথা ভাবছে ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফা। যা নিয়ে সংস্থাটির সদস্য দেশের মাধ্যমে গণভোটের আয়োজন করা হতে পারে। এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসায় নির্ধারিত সূচি মেনে ম্যাচ খেলতে বাধ্য বলে জানিয়েছে প্রতিপক্ষ দেশগুলো।