রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪৩ অপরাহ্ন
ওয়েব ডেস্ক: সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের নতুন পে-কমিশনের সিদ্ধান্ত আগামী সরকার নেবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
রোববার (৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এবং খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের একটি প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আইএমএফর সঙ্গে আমার চূড়ান্ত কথা হবে ১৫ তারিখে। আইএমএফর সঙ্গে আমার জুমে কথা হয়েছে। ওরা বলেছে তোমাদের সার্বিক অর্থনৈতিক দিকটা নিয়ে আমরা অত্যন্ত হ্যাপি। ঠিক আছে যা যা করার তোমরা চেষ্টা করছ, করেছ।
তিনি বলেন, ওদের কিছু কিছু রিকমেন্ডেশন আছে। যেমন রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। সেটা আমি স্বীকার করেছি, ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও লো। সেটার অনেক কারণ আছে। আমাদের লোকজন ট্যাক্স দিতে চায় না। আবার এনবিআর বন্ধ ছিল দুই মাস। সেটার জন্য আমাদের বিরাট একটা… হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি।
দ্বিতীয় ওদের (আইএমএফ) আরেকটা ফাইন্ডিং আছে সামাজিক সুরক্ষার জন্য আরো বেশি ব্যয় করা, বিশেষ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা সামাজিক নিরাপত্তা এবং খাদ্যটা। খাদ্যটা আমরা মোটামুটি ভালো করছি।
আপনি কি আশাবাদী? নির্বাচনের তিন মাস বাকি আছে, আপনি পাবেন কিনা? সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আগে আমরা যেটা করবো আমরা যতটুকু কাজ করেছি সেটাকে কনসলিডেট করবো। সংস্কার শেষ করে ফেলব সেটা তো না, সেটা তো শেষ করা যাবে না। সংস্কার তো একটা কন্টিনিউ প্রসেস। আমরা এটাকে একটা ভালো করে প্যাকেজিং যেটা বলে আর কি, প্যাকেজিং করে দেব, আগামী সরকারের কাছে, যেসব মেজর সরকার সংস্কার।
তিনি বলেন, ইভেন আমি একটা কমিটি করেছি ট্যাক্সের ব্যাপারে আপনারা জানেন কিছু ইকোনমিস্টকে নিয়ে, তারা ইন্ডিপেন্ডেন্ট। তারা কিছু রিকমেন্ডেশন দেবে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমাদের ব্যাংকিং সেক্টর সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ। ব্যাংকিং সেক্টরটা মোটামুটি যেটা শুরু হয়েছে, আর বাকিগুলো আস্তে আস্তে করবে। এই জিনিসগুলো আমরা আগামী সরকারের জন্য…।
আইএমএফ’র ঋণের ৬ষ্ঠ কিস্তি অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে পাওয়া যাবে কিনা। এমন প্রশ্নের উত্তরে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা রাজি হয়েছি আগেই, যে এখন কোনো প্রয়োজন নেই। ওরা রিভিউটা কমপ্লিট করে, কারণ ওরা বলছে তোমরা তো করে যাচ্ছ যে জিনিসগুলো, আমাদের একটু দেখতে হবে একটা রাজনৈতিক সরকার এসে কতটুকটা ধারণ করে। ওটা তো একটা ইম্পর্ট্যান্ট জিনিস। আমরা ফেব্রুয়ারির দিকে ইলেকশনের সঙ্গে সঙ্গে ওরা আবার রিভিউতে আসবে, তারপর ওরা ডিসাইড করবে।