মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১১:১৫ অপরাহ্ন
ওয়েব ডেস্ক: রাজধানীর পল্টনে সমাবেশ শেষে বৈঠক করেছেন পাঁচ দাবিতে আন্দোলনরত ৮ দলের শীর্ষ নেতারা। বৈঠক শেষে নভেম্বরেই গণভোটের আয়োজনসহ পাঁচ দাবি আদায়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সমাবেশ পরবর্তীতে ৮ দলীয় শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন– ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা সারওয়ার কামাল আজিজী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)’র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চান, অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, অধ্যাপক গোলাম পরওয়ার, অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা জালাল উদ্দিন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মাওলানা ইউসুফ সাদিক হাক্কানী, মাওলানা মুসা বিন ইজহার, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, নিজামুল হকসহ ৮ দলের শীর্ষ নেতারা।
বৈঠকে নেতারা জুলাই সনদের আইনী স্বীকৃতি ও জাতীয় নির্বাচনের পূর্বেই গণভোটের ব্যাপারে দেশে চলমান আন্দোলনের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সেই পরিপ্রেক্ষিতে ৮ দলের শীর্ষ নেতারা চলমান আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে নিম্মোক্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়–
১. জুলাই সনদের আইনী স্বীকৃতি ও জাতীয় নির্বাচনের পূর্বেই গণভোটের ব্যাপারে দেশে চলমান আন্দোলনের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় ‘জুলাই সনদের আইনী স্বীকৃতি ও জাতীয় নির্বাচনের পূর্বেই গণভোটের ব্যাপারে’ আলোচনার জন্য আগামীকাল ১২ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চাওয়া হবে।
২. প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় ‘জুলাই সনদের আইনী স্বীকৃতি ও জাতীয় নির্বাচনের পূর্বেই গণভোটের ব্যাপারে’ ফলপ্রসূ কোনো সিদ্ধান্ত না আসলে আগামীকাল (বুধবার) ৮ দলের শীর্ষ নেতারা কঠোর কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারূফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।