মনীষা তালুকদার,
জনসংখ্যা দেশের জন্য আর্শীবাদ ও অভিশাপ দুটোই হতে পারে। যখনই দেশের সম্পদ দেশের জনগণের তুলনায় অপ্রতুল হয়ে যায় তখনই দেশে জনসংখার বিস্ফোরণ হয় এবং এই বিস্ফোরণ নিয়ন্ত্রণ করা অতীব জরুরি হয়ে পরে।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা রাখতে হলে প্রথমে তাদেরকে জনসংখ্যা বিস্ফোরনের কারন জানতে হবে । তাই নিচে জনসংখ্যা বিস্ফোরন কারন সমেত শিক্ষার্থীদের কি ভূমিকা হতে পারে তা আলোচনা করা হলো:
১/ সমাজে বাল্যবিবাহ , বহুবিবাহ , ছেলে সন্তানের লোভে অধিক সন্তানের জন্ম দেওয়া মতো কুসংস্কার রয়েছে যা জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য দায়ী।
২/ কুসংস্কারের বিভিন্ন বেড়াজাল যে সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে তার অন্যতম কারণ অশিক্ষা বা শিক্ষার অভাব ।
৩/ যখন দেশের মানুষের গড় আয়ু কম হয় এবং শিশু মৃত্যুর হার বেশি হয় তখনও দেশের জনগণ অধিক সন্তান প্রতি আগ্রহী হয়।
৪/ দারিদ্র্যতার হার বেশি আর নারীর মতামতের প্রাধান্য না থাকা জনসংখ্যার বিস্ফোরনে উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভূমিকা:
১/ শিক্ষার্থীরা বাল্য বিবাহ ও বহুবিবাহের কুপ্রভাব সম্পর্কে বিভিন্ন পোস্টার ছাপাতে পারে । বিভিন্ন সমাবেশের আয়োজন করতে পারে। যেখানে পরিবারের সদস্যদের তারা বুঝাবে সন্তান ছেলে হোক আর মেয়ে পরিবারের ভার বহনে উভয়েই সক্ষম।
২/ দারিদ্র্যতা কমানোর জন্য বেশি সন্তানের জন্ম নয় বরং পরিবারের নারী সদস্যদের শিক্ষিত ও কর্মক্ষম হওয়ার জরুরি এটাও শিক্ষার্থীরা সমাজের মানুষকে বুঝাতে পারে।
৩/ জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন হওয়ার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে উৎসাহিত করতে পারে।
৪/ বিভিন্ন ধর্মীয় নেতাদের সচেতনতা সৃষ্টিতে এগিয়ে আসার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে পারে ।
৫/ শিশু মৃত্যুহার হ্রাসে গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের “মা ও শিশুর স্বাস্থ্য পরিচর্যা”, “মা ও শিশুর পুষ্টি” প্রভৃতি সম্পর্কে অবহিত করাতে পারে শিক্ষার্থীরা।
উপরোক্ত সবগুলো কাজই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থার সদস্য হিসেবে অথবা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে।
মনীষা তালুকদার
শিক্ষার্থী, পরিসংখ্যান বিভাগ,
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।