বিশেষ সংবাদদাতা:
করোনা সংক্রমণে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা রেড জোনের মধ্যে পড়ছে। এই সাবধানবাণী আগেই ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল পশ্চিমবাংলাকে। শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, আগামী ১৪ দিনের মধ্যে যে ভাবেই হোক কলকাতা, হাওড়া এবং উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকাকে রেড জোন থেকে অরেঞ্জ জোনে নিয়ে আসতে হবে। সেইজন্য প্রশাসন আরও কড়া হবে। এলাকাগুলি খুবই স্পর্শকাতর জায়গায় রয়েছে বলেও তিনি এদিন জানিয়ে দেন।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন রীতিমতো কড়া ভাষায় জানান, কলকাতা, হাওড়া এবং উত্তর ২৪ পরগনায় কোথাও কোনও রকম ভিড় বরদাস্ত করা হবে না। বাজারহাটগুলিতে থাকবে কড়া নজরদারি। প্রয়োজনে সশস্ত্র পুলিশ নামবে রাস্তায়। অনেকে মনে করছেন, মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার অর্থ, কলকাতা, হাওড়া এবং উত্তর ২৪ পরগনার বহু এলাকায় এবার কমপ্লিট লকডাউনই হতে চলেছে। উল্লেখ্য, এর আগে ২২ মার্চ রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকা জনতা কারফিউ সফল হয়েছে। তার পর ২১ দিনের লকডাউনের প্রথম দিকেও ভালোই সাড়া পাওয়া গিয়েছিল। এর পিছনে ছিল পুলিশের কড়া ভূমিকা।
কিন্তু কোথাও কোথাও পুলিশ অতি সক্রিয় বলে অভিযোগ ওঠায় মুখ খোলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তিনি পুলিশকে সংযত ও মানবিক আচরণ করার নির্দেশ দেন। তার পরই পুলিশ হাত গুটিয়ে নেয়। তখন থেকে বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন ঠিকমতো মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠতে থাকে বিভিন্ন মহলে। প্রশ্ন উঠেছে, কলকাতা, হাওড়া এবং উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা কি সেইজন্যই রেড জোনে চলে আসে?