বিশেষ সংবাদদাতা,কলকাতা:
লকডাউনের মধ্যেই প্রতীকী প্রতিবাদ বামেদের! পশ্চিমবাংলায় করোনা সংক্রান্ত তথ্য গোপন এবং রেশনে অব্যবস্থা ও দুর্নীতির প্রতিবাদে শনিবার কলকাতায় পথে নামেন বাম দলগুলির শীর্ষ নেতারা। এদিন রেড রোডে বাম দলগুলির অবস্থান–বিক্ষোভে ছিলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিম, বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী প্রমুখ নেতারা। সেখানেই গ্রেফতার করা হয় বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী–সহ অন্য নেতাদের।
এদিন রেড রোডে ১৫ মিনিট ধরে তাঁরা অবস্থান করেন। বাম নেতাদের দাবি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখেই তাঁরা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশই অতিসক্রিয় হয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম ভেঙে তাঁদের গ্রেফতার করেছে। যদিও পুলিশের বক্তব্য, বারবার সরে যেতে বলার পরও বিক্ষোভকারীরা কথা শুনছিলেন না। তাঁরা লকডাউন ভাঙছিলেন। তাই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘গরিবদের খাবার দিতে পারছে না এই সরকার। অথচ বিমান বসুর মতো প্রবীণ নেতাকেও গ্রেফতার করছে! এটা এক ধরনের অসভ্যতা। এই ধরনের অসভ্যতা এই সরকারই করতে পারে।’
এদিকে, লকডাউনের সময় এমন আন্দোলন করায় বাম নেতাদের তীব্র সমালোচনা করেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘এই সময় মানুষ খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে। বাম নেতারা সে কথা একবারও ভাবেননি। এটা ঘৃণ্য রাজনীতিই। এমন সঙ্কটের সময় এই ধরনের রাজনীতি করা উচিত নয়। অথচ বাম দলগুলি সেটাই করছে।’ বামেদের এই আন্দোলনের সমালোচনা করেছে বিজেপিও। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার কোনও ভালো কাজের কথা ঘোষণা করলেই তার বিরুদ্ধে বাম ও ডান নেতারা একসঙ্গে নেমে পড়েন প্রতিবাদ করতে। তখন তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়ে পড়েন। বামেদের যদি সত্যিই ক্ষমতা থাকত, তা হলে মুখ্যমন্ত্রীর চোখে চোখ রেখে কথা বলতেন!’