চৌধুরী হারুন, রাঙামাটি প্রতিনিধি:”মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি করি, সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়ি”- এই স্লোগানে সারাদেশের ন্যায় পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতেও মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২০। মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্যের সংরক্ষণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং প্রাণী পুষ্টির উৎস হিসেবে মাছের গুরুত্ব সর্ম্পকে উদ্বুদ্ধ ও জনসচেনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিবছরই মৎস্য সপ্তাহের আয়োজন করে আসছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এবারও রাঙামাটি জেলাসহ দশ উপজেলায় মৎস্য সপ্তাহ পালনে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সপ্তাহব্যাপী এই আয়োজন শেষ হবে ২৭ জুলাই।
জেলা মৎস্য অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে মৎস্য সপ্তাহের প্রথমদিন ২১ জুলাই (মঙ্গলবার) মাইকিং এবং ব্যানার ফেস্টুন এর মাধ্যমে প্রচারাভিযান চালানো হবে। ২২ জুলাই মৎস্য সেক্টরে বর্তমান সরকারের অগ্রগতি ও সাফল্য বিষয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে। ২৩ জুলাই মাছে ক্ষতিকর রাসায়নিক প্রয়োগ বিরোধী অভিযান ও মৎস্য বিষয়ক আইন বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে। ২৪ জুলাই মাছ চাষীদের মাছচাষ বিষয়ক নিবিড় মরামর্শ সেবা প্রদান ও পুকুরের মাটি এবং পানি পরীক্ষা করা হবে। ২৫ জুলাইয়েও দ্বিতীয় মতো মৎস্য সেক্টরে বর্তমান সরকারের অগ্রগতি ও সাফল্য বিষয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে। ২৬ জুলাই চাষী ও সুফলভোগীদের মাঝে মাছ চাষ বিষয়ক উপকরণ বিতরণ করা হবে। এবং মৎস্য সপ্তাহের সমাপনী দিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা হবে এবং এর মধ্য দিয়ে সপ্তাহব্যাপী আয়োজনের সমাপ্তি ঘটবে।
রাঙামাটি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ জানিয়েছেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী রাঙামাটিতেও সপ্তাহব্যাপী মৎস্য সপ্তাহ পালিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলা মৎস্য অফিস সকল ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এছাড়া রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে আমরা মাছের পোনা অবমুক্তকরণের আয়োজন করেন। মৎস্য সপ্তাহের মধ্যে সুবিধাজনক সময়ে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রধান অতিথি পোনা অবমুক্তকরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।