মেহেদী হাসান সামাদ,নেত্রকোনা:নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলা পৌরসভার আনসার ভিডিপির ৬ নং ওয়ার্ড দলনেত্রী সুমা খান কে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছে একই এলাকার প্রভাবশালী সাবেক ব্যাংক কর্মচারী মাখন দেওয়ান ও তার ছেলেরা।এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ওয়ার্ড দলনেত্রী সোমা খান নিজে বাদী হয়ে মাখন দেওয়ান ও তার ছেলেদের বিরুদ্ধেথানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন আনুমানিক ২/৩ বছর হয় আমার কাছ থেকে মাখন দেওয়ানের শ্রী শিরিন আক্তার তার প্রয়োজনের কথা বলে দশ হাজার টাকা ধার নেয়।
পরবর্তীতে এই টাকা চাইলে দেই দিচ্ছি বলে আজ অনেকদিন হয়ে গেল কিন্তু টাকা দেওয়ার নামে কোন খবর নাই পরবর্তীতে ২৪/৭ /২০২০ ইং শুক্রবার আনুমানিক ১১টার দিকে শিরিন আক্তার আমার বড় ভাই আওয়াল খান এর ঘরে আসে তখন আমার মা রেজিয়া কানম আনুমানিক (৫০)উনার কাছে টাকা চাইলে উনি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।
কথোপকথনের এক পর্যায়ে আমার মা বলেন আপনি যদি কোরআন শপথ করে বলতে পারেন যে আমি টাকা নেই নি অথবা দিয়ে দিয়েছেন তাহলে আমার মেয়ে এই টাকার দাবি ছেড়ে দেবে।কিন্তু শিরিন আক্তার বলেন আমি কেন কোরান শপথ করতে যাবো আমি অনেক পাপ করেছি কোন পাপে না কোন পাপে আমাকে গ্রাস করে বলা যায় না এই বলে উনি চলে যান।
পরদিন ভোর বেলায় আমার মা ফজরের নামাজ পড়ে রাস্তায় হাঁটতে বের হলে তার বাড়ির সামনে দিয়ে গেলে তার স্বামী মাখন দেওয়ান আমার মাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এমনকি লাঠি নিয়ে মারার জন্য দৌড়ে আসে তখন আমার মা বাচার উদ্দেশ্যে মাখন দেওয়ানের বাড়ির সামনে রাস্তার দক্ষিণ পার্শ্বে প্রতিবেশী সাবেক কমিশনার সাখাওয়াত হোসেনের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
ঐদিন দুপুর বেলায় আমার বড় ভাই বকুল খান এর দোকানে গিয়ে মাখন দেওয়ান ও তার ছেলেরা সহ বড় ভাই কেউ গালাগালি করে এবং মারতে যায় পরে আশেপাশের লোকজন এসে তাদের বাধা প্রদান করে।
এদিকে একই সময়ে আমার ডিউটি চলাকালীন অবস্থায় আমি ট্রেজারিতে যাই , এমনকি ট্রেজারী থেকে শোনা যাচ্ছে হৈ-হল্লা আমার কাজ শেষ করে বের হয়ে এসে দেখি আমার বড় ভাইয়ের দোকানে অনেক লোকজনের ভিড় তখন আমি সেখানে গেলে আমাকেও মাখন দেওয়ান ও তার ছেলেরা আমার গায়ে হাত দিতে উদ্ভূত হয় ও অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এ সময়
লোকজনেরা ফিরায়ে দিলে মাখন দেওয়ান এবং তার ছেলেরা বলে আজকে লোকজনের জন্য কিছু করতে পারলাম না তোকে রাস্তায় মেরে ফেলে দিব বলে হুমকি দিয়ে যায়।এতে আমি ভয়ে আতঙ্কে আছি তাই নিরাপত্তা চেয়ে আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
আপনারা কুজ খবর নিয়ে দেখতে পারেন তার কাছে এলাকার অনেক লোকজন টাকা পায় এমনকি তার ব্যবহার খুবই খারাপ দুইদিন পরপর তার সঙ্গে লোকজনের অনেক ঝগড়া হয় এখানে মিথ্যা বলার কিছু নেই।
এ ব্যাপারে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাহাঙ্গীর এর সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন ঘটনার সত্যতা পেয়েছি এ ব্যাপারে আমি কোর্টে আবেদন করব এমনকি আমার যা করণীয় আমি তাই করবো।