নিউইয়র্ক শহর করোনা ভাইরাসের আক্রমনে পর্যুদস্ত। এই শহরে এ পর্যন্ত প্রায় ৭০,০০০ মানুষ আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট করেছে। যারা আক্রান্ত হলেও রিপোর্ট করেনি এরকম সংখ্যা ছয় অংক ছাড়িয়ে গেছে। ইতিমধ্যে দেড় হাজার উপর মানুষ মৃত্যু বরন করেছেন। হাজার তিনেক মানুষ চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়েছেন। ধীরে ধীরে সুস্থ হওয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে আশাকরি। আজকে নিউইয়র্ক ষ্টেট গভর্নর স্বীকার করেছেন যে করোনার প্রকোপ যা আশা করেছিলেন তার চেয়ে অনেক অনেক গুন বেশী হয়েছে। আমার বাসার কাছে যে সরকারি হাসপাতাল আছে ( এলমহার্স্ট হাসপাতাল) সেখানে প্রতি দিনই মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিউইয়র্ক ষ্টেটে গত ২৪ ঘন্টায় ৫৮৫জন মৃত্যু বরন করেছে,যার সিংহ ভাগই নিউইয়র্ক সিটিতে। ইতিমধ্যে নিউইয়র্কে প্রায় ৪০ জন বাংলাদেশী মৃত্যু বরন করেছে। হাসপাতাল গুলিতে ভর্তি নিতে কতৃপক্ষ হিমসিম খাচ্ছে। যারা তুলনামূলক ভাবে সুস্থ তাদেরকে প্রয়োজনীয় ঔষধ দিয়ে বাসায় বসে চিকিৎসা নিতে বলা হচ্ছে। অনেকে হাসপাতালে না গিয়ে বাসায় বসে চিকিৎসা নিচ্ছে। টেস্টিং সেন্টারগুলিতে প্রচন্ড ভীড়। সেখানে সবগুলো লক্ষ্মন না থাকলে টেস্ট করাচ্ছে না। বাংলাদেশীদের মধ্যে একটা বিরাট অংশ আক্রান্ত হয়েছে বলে মনে হয়। ইতিমধ্যে বাংগালী চরিত্র অনুযায়ী তারা লাশ গুম করার গুজব ছড়াচ্ছে। এটা সম্পূর্ন গুজব।যুক্তরাষ্ট্রে এটা সম্ভব নয়।এটা সেন্সর্ড মিডিয়ার দেশে হলেও হতে পারে,কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে অসম্ভব। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট করোনা ক্রাইসিসে বেশ কিছু ভালো পদক্ষেপ নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ২ লক্ষ ভেন্টিলেটর আছে। আরও ভেন্টিলেটর তৈরির জন্য জেনারেল মটরস কোম্পানি (GMC)কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আর যেসব হাসপাতালে ভেন্টিলেটর বেশি আছে সেগুলোকে সঠিক ভাবে বন্টন করতে বলেছেন। তবে সবকিছুর মূলে মহান আল্লাহ পাকের ইচ্ছা। আল্লাহ পাক যদি আমাদেরকে রক্ষা না করেন তাহলে এই বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার সুযোগ নেই।মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করি,হে মহান রাব্বুল আল আমিন আপনি এমন মৃত্যু আমাদের দিয়েন না যে মৃত্যুতে মানুষ জানাজা পড়তে পারবে না,সঠিক ভাবে দাফন করা যাবে না। মহান আল্লাহ পাক আমাদের হেফাজত করুন। আমিন।
নিউইয়র্ক,
এপ্রিল ১,২০২০।(collected from Monirul Huq Rahul)