” রক্তমাখা বাংলাদেশ”
জাহিরুল মিলন
চোখের সামনে নেমে এল একটা কফিন
রক্তাক্ত, কর্দমাক্ত, অপরিস্কার অগোছালো
কে? কার শবদেহ? কার কফিন এটা?
কাকে শুয়ে রেখেছো? কে আছে এখানে?
কোন কথা নয়, চুপ একদম
কফিনের মত রক্তাক্ত চোখে শাঁসিয়ে
নির্দেশ হল কফিনের দরজা খোলার
দরজা খুলতে বেরিয়ে এল একটা লাশ
একটা লোকের লাশ
শুয়ে আছে রক্তমাখা শরীরে।
তবুও মুখে তার বাংলার প্রতিচ্ছবি
এই লাশটির নাম কি যান?
লাশটির নাম বাংলাদেশ।
যে স্বাধীন ভূ-খন্ডের জন্য লড়েছে
জেল খেটেছে বহুবার, সেই বাংলাদেশকে ওরা!
শ্রাবণের কালো মেঘের আঁধারে
হায়েনার দল ভোরের আলো ফোটার আগেই
অমানিশার অন্ধকারে রচিত করেছিল
ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কিত অধ্যায়।
সেদিন গর্জে উঠেছিল হায়েনার ক্রোধ
নিদ্রামগ্ন শহরের নীরবতাকে হরণ করছিল
ট্যাঙ্ক, রাইফেল আর মেশিনগানের হুঙ্কার।
ছিন্নভিন্ন হল ধানমন্ডির ৩২ নং বাড়ি
সংহার করলো প্রতিটি তরতাজা প্রাণ
বড় কামাল থেকে শুরু করে ছোট রাসেল
রেহাই পাইনি একটাও পিচাশের হাত থেকে।
কার জন্য? কাদের জন্য? কীসের জন্য?
হে মুজিব লড়েছিলে শত্রুর বিরুদ্ধে
এনেছিলে জ্বলজ্বলে রক্তাক্ত এই পতাকা
সেই পতাকার মান রাখতে আজ
তোমার দেহ হল রক্তে রঞ্জিত।
মরে গেছে মুজিব।
ওরা ভেবেছে মুজিব মরে গেছে
যে লোকটার নাম শেখ মুজিবুর রহমান
যার নাম বাংলাদেশ
সে কি করে মরতে পারে!
না! না! কেউ একথা বলোনা
সে ছিল, আছে এবং থাকবে এইখানে
বাঙালির হৃদয় মানসে অবিনাশী হয়ে
তাকে কি মোছা যায়? যায় কি কখনও মুছে?
ইতিহাসের রঙিন পাতায় রঙিন হয়ে থাকবে
আমাদের মুজিব যার আরেক নাম বাংলাদেশ।
আরো জানতে পড়ুনঃ