1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

#স্পেনের_কান্না_ও_এপ্রিল_ফুল!!!

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল, ২০২০
  • ২৬৮ Time View

মারিয়ার বয়স তখন ১০। তাদের বাসায় হামলা হলে মা তাকে বাথরুমে লুকিয়ে রাখে। হামলাকারীরা বাসায়

ঢুকেই মারিয়ার মাসহ বাকি দুই ভাইকে হত্যা করে। বাসা থেকে বের হতে গিয়ে কি যেন মনে করে একজন বাথরুমের ছিটকানিখুললে মারিয়াকে পেয়ে যায়…..

দশজনের দলটি তাকে পালাক্রমে ধর্ষণের সিদ্ধান্ত

নেয়। দলটির দুর্ভাগ্য(?) যে, তিনজনের ধর্ষণ শেষেই মারিয়া পরপারে চলে যায়!

সেদিন অনেক মারিয়ার জীবনেই এই ঘটনা ঘটেছিল

আরবীয় বংশোদ্ভূত মারিয়া বাবা সিদ্দিক তখন যুদ্ধ

ক্ষেত্রে ছিল। স্পেনের মুসলিম বাহিনী পরাজিত

হলে সে ছুটে বাসার দিকে আসতে থাকে। তখন

প্রতিটা মুসলিম জনবসতিতে আগুন জ্বলছে। খৃষ্টান

বাহিনী ঘোষনা দিয়েছে, যারা মসজিদে আশ্রয়

নিবে তাদের হত্যা করা হবে না। বাকিদের যেখানে

পাওয়া যাবে সেখানেই হত্যা করা হবে। যত দ্রুত

সম্ভব সিদ্দিক তার পরিবার নিয়ে কাছাকাছি কোন

মসজিদে আশ্রয় নিতে চায়..

বাসার সামনে এসেই দেখতে পায় দাউ দাউ করে

আগুন জ্বলছে। নির্বাক হয়ে যায় সে। আগুনে পোড়া

ধ্বংসস্তুপের মাঝে সে কাউকে আবিস্কার করতে

পারে না। তারপর ছুটে যেতে থাকে পাশের মসজিদের দিকে। ক্ষীন আশা নিয়ে সে মসজিদে যেতে থাকে, যদি পরিবার সেখানেগিয়ে থাকে….!

মসজিদ নারী, পুরুষ আর শিশু দিয়ে ভরে গেছে। পা

রাখার জায়গা নেই কোথাও। তার মারিয়ার মত অনেক মেয়েকেই দেখতে পায়, কিন্তু মারিয়াকে খুঁজে পায় না। পাগলের মতএকপাশ থেকে অন্যপাশে যেতে থাকে কিন্তু তার পরিবারের কাউকেই সে খুঁজে পায় না

এর মাঝেই বাহিরে হট্টগোল হতে থাকে। শিশুরা ভয়ে নতুনভাবে আবার কান্না শুরু করে দেয়। দেখা যায় খৃষ্টান বাহিনী মসজিদেরসামনে এসে বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকা দুজন মুসলিমকে মেরে ফেলে। সবাইকে মসজিদের দরজা জানালা বন্ধ করে দিতে বলে। জীবনবাঁচাতে মসজিদে আশ্রয় নেওয়া মুসলমানরা সব দরজা জানালা ভিতর থেকে আটকে দেয়। আর খৃষ্টান বাহিনী বাহির থেকেদরজা আটকে দিতে থাকে..

মুসলিমরা প্রথমে ভেবেছিল কেউ যেন বাহিরে যেতে না পারে সেটা নিশ্চিত হতে বাহির থেকে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হলো! কিন্তুএকটু পরেই তারা নিজেদের বোকামী বুঝতে পারে। বেঈমান জাতি খৃষ্টানদের বিশ্বাস করাই ছিল জীবনের সবচেয়ে বড় বোকামী

ততক্ষনে মসজিদের চারিদিকে দাউ দাউ করে আগুন

জ্বলা শুরু হয়ে গেছে। খ্রিষ্টান বাহিনী দরজা জানালা

আটকে দিয়ে মসজিদে আশ্রয় নেওয়া অসহায় নারী পুরুষ শিশুদের পুড়িয়ে মারতে বাহির থেকে আগুন লাগিয়ে দেয়।মসজিদের ভিতর চলতে থাকে বাতাস ভারী করা আত্মচিৎকার….

আর বাইরে চলে খ্রিষ্টানদের উল্লাস করা অট্টহাসি। তারা মুসলিমদের বোকা বোকা (Fool Fool) বলে হাসতে হাসতে আনন্দকরতে থাকে….

এই দিনটাই ছিল এপ্রিল মাসের তারিখ।

স্পেনের বুকে মানবজাতির ইতিহাসে ঘটে যায় এক জঘন্য ঘটনা। এটাই পৃথিবীর ইতিহাসে এপ্রিলফুল (April Fool) নামে স্থানকরে নেয়। এটা খৃষ্টানদের আনন্দ মজা করার দিন।

আজকাল কিছু মুসলিম নামধারী মূর্খ এইদিনে

খ্রিস্টানদের সাথে মজা করতে দেখা যায়! তারা ভাবে, এটা একটি আনন্দ তামাশা করার দিন। কিন্তু কিভাবে সেই তামাশা আনন্দআসলো সেটা জানতে চায়না

এই দিনটি খ্রিস্টানদের জন্য আনন্দের হলেও,,, মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত কস্টের, হৃদয় বিদারক!!!

তাই আমরা সেই নির্যাতিত স্পেনের মুসলিম ভাই বোনদের জন্য রব্বে কারীমের নিকট কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করবো আর আনন্দউৎসব করা না করার ব্যপারটা সম্মানিত পাঠকদের দ্বায়িত্বেই রইলো।

আল্লাহ তাআলা সেইসব ভাইবোনদেরকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুক।আমীন।

(সংগৃহীত সম্পাদিত)

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..