1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

আশুরার দিনে যা যা ঘটেছিল, আশুরা মুসলিমদের জন্য কেনো এত গুরুত্বপূর্ণ

  • Update Time : রবিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২০
  • ৪৫৯ Time View

নিজস্ব প্রতিনিধি উত্তরবঙ্গঃ ইসলামি বর্ষপঞ্জিতে যে চারটি মাস মুসলিমদের দৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তার মধ্যে মহররম অন্যতম। আশুরা হলো ইসলামের একটি ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবস। ইসলামিক পঞ্জিকা অনুযায়ী মুহররম এর দশম দিনকে আশুরা বলা হয়। ১০ই মহররম দিনটিকে ‘বিশেষ মর্যাদার’ দৃষ্টিতে দেখে মুসলিমরা। বাংলাদেশের মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে ১০ই মহররমকে সরকারিভাবে বেশ গুরুত্ব দেয়া হয়। এদিন সরকারি ছুটিও থাকে সবসময়।

পবিত্র মহররম সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, নিশ্চয়ই আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর বিধান ও গণনায় মাসের সংখ্যা ১২টি। এর মধ্যে চারটি নিষিদ্ধ ও সম্মানিত মাস। এটাই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান। সুতরাং এসব মাসে তোমরা নিজেদের প্রতি অবিচার করো না। (সুরা : তাওবা-৩৬)। হাদিস শরিফে এসেছে, এ চারটি মাস হলো, জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও রজব। আশুরার দিনে রোজার প্রচলন ছিল জাহেলি যুগেও! হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসুল সা.-এর কাছে আশুরার দিবস সম্পর্কে আলোচনা করা হলে তিনি বলেন, এই দিন জাহেলি যুগের লোকেরা রোজা রাখত। মুসলিম : ২৬৪২ হজরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, জাহেলি যুগে মক্কার কুরাইশ বংশের লোকেরা আশুরার রোজা রাখত এবং রাসুলও সা. আশুরার রোজা রাখতেন (মুসলিম : ২৬৩২)। হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, মহানবী মা. বলেন, রমজানের পর সর্বোত্তম রোজা হচ্ছে মাস মুহররম মাসের রোজা। সহিহ মুসলিম : ১৯৮২

এই দিনটি শিয়া মুসলমানদের দ্বারা বেশ আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করা হয়ে থাকে। এ উপলক্ষে তারা বিভিন্ন ধরনের মিছিল, মাতম ও শোকানুষ্ঠান আয়োজন করে। তবে একটি ক্ষুদ্র অংশ ততবীর পালন করে থাকে। শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলগুলোতে এসব অনুষ্ঠান চোখে পড়ার মত। যেমন- পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরান, ইরাক, লেবানন ও বাহরাইন।

 

তবে আশুরা নিয়ে সুন্নি সমাজে বিভিন্ন মত প্রচলিত আছে।

তাই অতিগুরুত্বপূর্ণ এই মাসের ১০ তারিখের সঠিক ইতিহাস প্রতিটি মুসলমানের জেনে রাখা উচিত।

আসুন আমরা নিচের লেখাটি পড়ে আশুরার দিনে মূলত কি কি ঘটেছিলো তা সম্পর্কে অবগত হইঃ

আপনি জানেন কি, আল্লাহ তায়ালা এই সুন্দর পৃথিবী কবে বানিয়েছেন? এই মহররম মাসের ১০ তারিখে! বাবা-আদম আ. কেও সৃষ্টি করেছেন বরকতময় আশুরায়! তাদের জান্নাত উপহার দিলেন এই দিনে। তারপর? মা হাওয়া ও বাবা আদমের গন্ধম খেলেন! দীর্ঘ বছর গন্ধম খাওয়ার দায়ে কাঁদছিলেন আমাদের আদি মা-বাবা! গন্ধম খাওয়ার দায় থেকে এই আশুরার দিনেই মুক্তি পেলেন তারা। হজরত ইব্রাহিমও আ. নমরুদের অগ্নিকুন্ড থেকে রেহায় পান আজকের ১০ তারিখে। কুষ্ঠরোগ থেকে হজরত আইয়ুব আ.-এর সুস্থ হয়ে ওঠা এবং হজরত ইউনুস আ. মাছের পেট থেকে মুক্তি পাওয়ার স্মরনীয় দিনটিও মহররমের দশ তারিখ। হজরত নুহ আ. এর কিস্তিও তীরে ভিড়ে এই দিনে। মহাপ্লাবনে আক্রান্ত হজরত নুহের অনুসারীরা এই দিনে মাটির স্পর্শ পায়। আশুরার এই দিনে রাজত্ব ফিরে পায় হজরত সুলাইমান আ.। হজরত মুসা আ. কে ধাওয়া করতে আসা ফেরাউন বাহিনী এই দিনেই সাগরে ডুবে মারা যায়। পরবর্তীতে এর সাথে যুক্ত হয়েছে কারবালার ঘটনা।

৬৮০ সালে এই দিনে বর্তমান ইরাকের কারবালা নামক স্থানে ইসলামের নবী মোহাম্মদ(সাঃ দৌহিত্র হোসাইন ইবনে আলীকে, যিনি ইমাম হোসাইন নামে পরিচিত, প্রতিপক্ষ হত্যা করে। এরপর থেকে এই ঘটনাটিও যুক্ত হয় আশুরা পালন করার ক্ষেত্রে। বিশেষ করে শিয়া মতাবলম্বীরা এই ঘটনাটিকে বেশি গুরুত্ব দেয়। সুন্নি মতাবলম্বীদের কাছেও এই ঘটনাটি গুরুত্ব বহন করে।

মুসলিমদের অনেকেই আশুরারা দিন রোজা রাখেন। অনেকে আশুরার আগের দিন এবং পরেরদিনও রোজা পালন করেন। মুসলিমরা বিশ্বাস করেন, এই দিনটিতে ইসলামের নবী মোহাম্মদের পরিবারের যেসব সদস্য মারা গেছেন তাদের জন্য দোয়া পাঠ করা গুরুত্বপূর্ণ।

এ কারণে সুন্নি এবং শিয়া মতাবলম্বীদের অনেকেই বাড়তি নামাজ আদায় করেন। তবে সুন্নি মুসলিমদের চেয়ে শিয়া মুসলিমরা আশুরার দিনটিকে যেভাবে পালন করেন সেটি বেশ চোখে পড়ার মতো। বিভিন্ন জায়গায় তাজিয়া মিছিল বের করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিয়া মতাবলম্বীরা তাদের নিজেরে শরীরে ছুরি মেরে কষ্ট অনুভব করেন। তাদের বিশ্বাস নবী মোহাম্মদের দৌহিত্র হোসাইনকে হত্যার সময় যে তিনি যে কষ্ট পেয়েছিলেন, তারাও নিজেদের পিঠে ছুরি মেরে সে কষ্ট অনুভবের চেষ্টা করেন।

সোর্সঃ উইকিপিডিয়া, গুগল।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..