আলি হায়দার, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ছিনতাই কারীদের হাত থেকে ব্যাটারী চালিত অটো ক্রয়ের ৭৫ হাজার টাকা জন্য এক অটোচালক খুন হয় বলে জানা গেছে। নিহত হযরত আলী (২৮) কুলিয়ারচর পৌর এলাকার পূর্ব গাইলকাটা গ্রামের আক্কেল আলীর পুত্র।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৭ আগষ্ট) বিকাল ৩ টার দিকে ওই অটোচালক একটি অটো ক্রয় করার জন্য বাড়ি থেকে ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে বের হয়ে বাড়ির পার্শবর্তী কাসেম মিয়ার নার্সারিত দিক দিয়ে যাওয়ার পথে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা একই গ্রামের রানা (২৩), রিয়াদ (২২), শরিফ (২২), মাছুম (২১) ও পার্শ্ববর্তী বড়খারচর গ্রামের আকরাম (২০) ও মোখলেছ (২২) মিলে হযরত আলীর কাছ থেকে অটো ক্রয়ের টাকা ছিনিয়ে নিতে চাইলে সে বাঁধা দেয়। পরে ওরা হযরত আলীকে মারধর করে।
এক সময় হযরত আলী মাটিতে লুটিয়ে পরলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। হযরত আলীর অবস্থা আসঙ্কাজনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। নিরুপায় হয়ে নিহতের পরিবার ওই দিন রাতে তাকে ঢাকা নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে উত্তরা পপুলার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে নিয়ে সাময়িক চিকিৎসার করার পর তাকে অন্য কোন হাসপাতালে চিকিৎসা করার পরামর্শ দেয়। এই অবস্থায় গত শুক্রবার (২৮ আগষ্ট) সন্ধ্যা ৭:১৫ মিনিটের দিকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে এ্যাম্বুলেন্সেই তার মৃত্যু হয়। পরদিন শনিবার লাশ ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে নিহতের পিতা আক্কেল আলি কুলিয়ারচর থানায় ৩০ তারিখ একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ নং ২৭।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ওমর খসরুর বলেন, হযরত আলীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এই ব্যাপারে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ এ কে এম সুলতান মাহমুদ বলেন, গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১২:৪৫ মিনেটে ছেলের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাশেম মিয়ার নার্সারিতে প্রতিদিনিই এলাকার এক শ্রেণীর যুবক মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও সেবন করে থাকে। হযরত আলীর মৃত্যুর পর এই আড্ডা বন্ধ হয়ে গেছে।