আজ শনিবার বেলা ১১ টায় ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম জানান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯টি নমুনার ফলাফল পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের করোনা পজিটিভ এসেছে। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় যে নারীর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে তিনি গত ২০ এপ্রিল ঢাকা থেকে ঝিনাইদহে আসেন। তাঁর স্বামীরও নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তবে স্বামীর ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।
সিভিল সার্জন জানান, কালীগঞ্জের পুরুষ রোগীটি এসেছেন মাদারীপুর থেকে। তাঁরা কোন অবস্থায় আছেন তা দ্রুত খোঁজ-খবর নিয়ে তাঁদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেলিনা বেগম বলেন, ঝিনাইদহ জেলা এতদিন করোনামুক্ত থাকলেও এখন রোগী শনাক্ত হওয়ায় জেলাকে লকডাউন করার জন্য জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
এদিকে জেলায় করোনা শনাক্তের পরও শহরে ছোট ছোট যানবাহনগুলো নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় চলছে। ৬-৭ জন যাত্রী ঠাসাঠাসি বসিয়ে চলাচল করছে ইজিবাইকগুলো। রিকশা, মোটরসাইকেলেও থাকছে একাধিক যাত্রী। রাস্তাঘাট, বাজারে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই মানুষ চলাচল করছেন। এই অবস্থা চলতে থাকলে ঝুঁকি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম এই অবস্থার কথা উল্লেখ বলেন, মানুষ সবকিছু বোঝার পরও ঘরে থাকছে না। তাঁদের ঘরে না রাখতে পারলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।
দৈনিক প্রত্যয়/ জাহিরুল মিলন