প্রত্যয় ডেস্ক, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠি জেলায় সম্প্রসারিত হচ্ছে বাতাবি লেবুর চাষ। কৃষি বিভাগ বাতাবি লেবু প্রচলিত জাতের পাশাপশি থাই বাতাবি লেবু চাষেও কৃষকদেরকে পরামর্শ দিচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি জনিত কারণে ডায়াবেটিকস, উচ্চ রক্ত চাপ জনিত রোগ প্রতিরোধে ঔষধীগুণ থাকায় বাতাবি লেবুর চাহিদা বেড়েছে। ঝালকাঠি জেলায় প্রায় ২ লক্ষধিক পরিবারের মধ্যে সিংহভাগ পরিবারেই কম বেশি ১-২টি করে বসতবাড়ির আঙ্গিণায় বাতাবি লেবুর গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছে এই মৌসুমে আকার বেধে ৫০টি থেকে ৩ শতাধিক ফল পাওয়া যায়। গৃহস্থ পরিবারের চাহিদা পুরন করে এই ফল বিক্রি করে বারতি আয় পাওয়া যায়। গ্রাম থেকে বেপারীরা ফল কিনে স্থানীয় বাজার ও বড় বড় শহরে চালান করে। এ বছর মাঠ পর্যায়ে শতক হিসেবে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা দরে বাতাবি লেবু বিক্রি করেছে কৃষক পরিবার। স্থানীয় জাতের বাতাবি লেবু টক-মিষ্টি স্বাদের হয়ে থাকে। কৃষি বিভাগ এই জাতীয় ফলের পাশা পাশি উৎপাদান বৃদ্ধি ও বেশি দাম পাওয়ার জন্য থাই বাতাবি লেবু চাষেরও পরামর্শ দিচ্ছে এবং ইতোমধ্যেই অনেক পরিবার থাই বাতাবি লেবুর চাষ করেছে।
থাই বাতাবি লেবু আকার বড় হয় ও ফলন বেশি এবং মিষ্টি স্বাদের । পরীক্ষামূলকভাবে মাঠ পর্যায়ে কৃষক পরিবার ১-২টি করে এই জাতের ফলের চারা রোপন করে আবাদ সম্প্রসারণ করছে। ঝালকাঠি জেলায় কৃষি ও বন বিভাগের কাছে। বাতাবি লেবুর কি পরিমান গাছ রয়েছে তার সঠিক কোন পরিসংখ্যান নেই। বন বিভাগের ধারণা মতে প্রায় ৭০ হাজার বাতাবি লেবুর গাছ রয়েছে। চারা বিক্রেতাদের ধারণা মতে, তারা প্রতি মৌসুমে এই জাতের চারার পাশাপশি ২-৩ হাজার থাই বাতাবি লেবুর চারা বিক্রি করছে।
রিপোর্টঃ বাধন রায়