প্রত্যয় নিউজডেস্ক: চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দিয়ে একদিনেই ৩৭ হাজার ৫০৬ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র (এলসি) খোলা হয়েছে। এছাড়া ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৬৪টি আইপির মাধ্যমে মোট ১ লাখ ১৬ হাজার ৮৭৬ মেট্রিক টন আমদানির অনুমতি পত্র নেওয়া হয়েছে।
২০ সেপ্টেম্বর নেওয়া ৩৭ হাজার ৫০৬ মেট্রিকটন পেঁয়াজের ৪৭টি এলসি নেওয়া চট্টগ্রামের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র থেকে। এর মধ্যে সোনালী ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান নেদারল্যান্ডস থেকে ২২ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিয়েছে।
জানা গেছে, গত সোমবার এক ঘোষণায় ভারত থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে সে দেশের সরকার। এতে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়তে থাকে পাইকারী ও খুচরা বাজারে। এ পরিস্থিতিতে ভারত ছাড়া বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদনির সিদ্ধান্ত নেয় ব্যবসায়ীরা।
ফলে শুরুতে বিকল্প ৬টি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র নেওয়া হলেও এর সাথে যুক্ত হয়েছে নতুন আরস ২টি দেশ। পাকিস্তান, মায়ানমার, মিসর, তুরস্ক ও মালয়েশিয়ার সাথে নতুন যুক্ত হয়েছে নেদারল্যন্ডস ও নিউজিল্যান্ড।
এস আলম গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সোনালী ট্রেডার্স নেদারল্যান্ডস থেকে ২২ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিয়েছে গত রোববার।
উদ্ভিদ সংনিরোগ কেন্দ্র চট্টগ্রাম কার্যালয়ের তথ্য মতে, চীন থেকে ১৭ হাজার ৩৬৫ মেট্রিকটন, মিয়ানমার থেকে ১৯ হাজার ৯৫১, পাকিস্তান থেকে ১৯ হাজার ৯৮৯, মিশর থেকে ২৪ হাজার ৮৩৯, তুরস্ক থেকে ৮ হাজার ৯২৬, নেদারল্যান্ডস থেকে ২৫ হাজার ৯৩৬, নিউজিল্যান্ড ২ হাজার ৬২০, মালয়েশিয়া থেকে ২৭০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হবে।
প্রতিষ্ঠানটি উপ-পরিচালক আসাদুজ্জামান বুলবুল বলেন, ‘এ কার্যালয় থেকে ১ লাখ ১৬ হাজার ৮৭৬ মেট্রিক টন আমদানির অনুমতি পত্র নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ধীরে ধীরে এ পেঁয়াজ দেশের বাজারে আসতে শুরু করবে। তবে এখনো পেঁয়াজের কোন চালান আসেনি। একটু সময় লাগবে। অনেক দূর থেকে পেঁয়াজগুলো আসবে।’
তিনি বলেন, ‘কাছের দেশে থেকে স্থল বন্দর দিয়ে আনা গেলে কয়েকদিনের মধ্যে চলে আসবে। যেমন মিয়ানমার থেকে কয়েকদিন আগে ৩০ মেট্রিকটন এসেছে। রোববার একদিনেই সর্বোচ্চ ৩৭ হাজার মেট্রিক টনের এলসি খোলা হয়েছে’।
জানা গেছে, ১৭ সেপ্টেম্বর ২১ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন, ১৬ সেপ্টেম্বর ১৭ হাজার ৫৬৬ মেট্রিকটন, ১৫ সেপ্টেম্বর ৩০ হাজার ৭১২ মেট্রিক টন, ১৪ সেপ্টেম্বর ২৪০ মেট্রিকটন, ১৩ সেপ্টেম্বর ১০০০, ১০ সেপ্টেম্বর ২ হাজার ৭৪১ মেট্রিকটন, ৯ সেপ্টেম্বর ৮১০, ৮ সেপ্টেম্বর ১ হাজার ৬২০, ৭ সেপ্টেম্বর ৬০০, ৬ সেপ্টেম্বর ১ হাজার ৫৯০, ৩ সেপ্টেম্বর ৩০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমাদানির অনুমতি নেওয়া হয়েছে।