নিজস্ব প্রতিনিধি, বগুড়াঃ গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার মাঠে থাকা আগাম শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষীরা। উঠতি ফসলের অনেক গাছ এই পানিতে পঁচতে শুরু করেছে। সবজি চারা নার্সারী ও বীজতলা পানিতে ডুবে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা প্রায় দিশেহারা।
উপজেলার রামনগর গ্রামের সবজি চাষি গ্রামের মামুদ আলী জানান ধার দেনা করে দুই বিঘা জমিতে আগাম জাতের টমেটো ও ফুলকপি চাষ করেছিলেন। প্রতিটি গাছ বেড়ে উঠেছিল সতেজ হয়ে কিন্তু বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কারণে টমেটো গাছগুলো মরে যেতে শুর“ করেছে। দুর্বল হয়ে যাচ্ছে ফুলকপি গাছগুলোও। এ অবস্থায় কিভাবে ঋণ শোধ করবে তা নিয়ে চিন্তিত এই চাষী। বাংড়া গ্রামের সবজি চাষি সাইদুল ইসলামের তথ্য থেকে জানা গেছে শেরপুর উপজেলায় আগাম জাতের শীতকালীন সবজি চাষে মাঠে তৎপর চাষিরা। কৃষি কর্মকর্তার সূত্র মতে প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষিরা চাষ করতে শুর“ করেছেন লালশাক, ডাঁটাশাক, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, বেগুন, কাঁচা মরিচ, টমেটো, পালং শাক , সীম, বরবটি ও মুলাসহ বিভিন্ন জাতের সবজি।
কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে জমি ভেজা থাকার কারণে নেতিয়ে পড়েছে অধিকাংশ সবজি গাছ। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় উপজেলার রামনগর, কালশিমাটি, শিবপুর, বাংড়া, ফুলবাড়ী, চকপাথালিয়া, গ্রাম শহর মির্জাপুর খানপুর ও সুঘাট ইউনিয়নের বিশেষ করে করোতোয়া নদীর পূর্বাঞ্চলের গ্রামগুলিতে সবজি চাষের জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। কোন কোন সবজি জমির সম্পূর্ণ অংশ পানির নিচে ডুবে গেছে এমনও দেখা যায়। নার্সারিতে ঢেকে দেয়া পলিথিন পড়ে আছে এক পাশে। চারার গোড়ায় পানি জমে চারা পঁচে গেছে।
এলাকার অনেকেই নিজের জমিতে সবজি চাষ করা ছাড়াও সবজির চারার ব্যবসা করেন। শেরপুর উপজেলায় উৎপাদিত সবজি এলাকার চাহিদা মিটিয়েও রপ্তানি করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একইভাবে বিভিন্ন এলাকা থেকে সবজির চারা কিনতে আসেন এই এলাকায়। সে কারণেই চাষিরা এখানে সবজির চারা গাছ উৎপাদন করেন।
উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন অতিবর্ষণে প্রায় ৩৫ হেক্টর জমির বিভিন্ন জাতের শীতকালীন সবজি ও মরিচের ক্ষতি হয়েছে যা পুষিয়ে উঠতে সবজি চাষীদের বেগ পেতে হবে।
এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..