প্রত্যয় ডেস্ক, ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলার বোরহানউদ্দিন মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম-২০২০ সফলভাবে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ মাইকিং, সচেতনামূলক সভা, লিফলেট বিতরণ সহ নানামূখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় মৎস্যজীবি, মৎস্য ব্যবসায়ী, আড়তদার ও ক্রেতাদের সচেতন করার লক্ষ্যে বিভিন্ন বাজার, বড় বড় মাছঘাট এলাকায় প্রচার-প্রচারণা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম করে যাচ্ছেন । এ কার্যক্রমের আওতায় শনিবার সকাল ও শুক্রবার রাতে বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ও পক্ষিয়া ইউনিয়নের স্বরাজগঞ্জ মাছঘাট এবং হাসাননগর ইউনিয়নের মির্জাকালু মাছ বাজারে ২টি পৃথক সচেতনতামূলক সভা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার এ,এফ,এম নাজমুস সালেহীন এর সভাপতিত্বে ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুর রহমান। তিনি বলেন,বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ মৎস্য উৎপাদনে তৃতীয়। বাংলাদেশে যে পরিমান মৎস্য উৎপাদন হয় তার এক তৃতীয়াংশ হয় ভোলায়। প্রজনন মৌসুমে এ অভয়াশ্রমে ২১ থেকে ২৪ কোটি ইলিশ মাছ নদীতে আসবে। যা আমাদের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখবে। এটা আমাদের জাতীয় সম্পদ। তাই ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য আমরা এ খাতকে সমৃদ্ধশালী করতে হবে। তাই ইলিশের প্রজনন সুরক্ষা ও বৃদ্ধিতে নিষিদ্ধকালীন ২২দিন সকলকে সরকারি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহবান জানান। এর পূর্বে তিনি জেলের সমস্যা শুনেন। এ সময় জেলেরা নদীতে জলদস্যূর চাঁদাবাজি, মুক্তিপণ আদায়, ঘাট এলাকায় মাদক বিকিকিনি হয় বলে জানান। তারা আরও জানান, মাদক প্রতিরোধ করতে চাইলে উল্টো তাদেরকে মাদকের সাথে জড়িত করার হুমকি দেন মহল বিশেষ। এ সময় নির্বাহী কর্মকর্তা তাদেরকে ঘাট এলাকায় সুপেয় পানির ব্যবস্থায় গভীর নলকূপ স্থাপন ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা করে দিবেন বলে আশ্বাস দেন। এছাড়া রাতের আধারে খালের উভয়পাশে সিগন্যাল বাতি স্থাাপন ও নৌকাগুলোতে লাইফ জ্যাকেট দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে জেলেদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন হাসাননগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মানিক হাওলাদার, পক্ষিয়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির, উপজেলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি আবু সাইদ মাঝি, মৎস্য ব্যবসায়ী আব্দুস সহিদ, জেলে আমিন মাঝি ও রিপন।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জানান, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১৯ হাজার। নিষেধাজ্ঞা চালাকালিন সময়ে গত বছর ১২ হাজার জেলেদের মধ্যে বিশেষ বরাদ্ধের চাল দেওয়া হয়েছে। এ বছর ১৭ হাজার জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করা হবে। তিনি আরও জানান ২ অক্টোবর এ প্রচারণা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চলবে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত। তিনি জানান, ছোট বড় ১৪টি মাছ বাজারে সচেতনামূলক সভা হবে। ১৭টি স্পটে ব্যানার সাঁটানো হবে।
রিপোর্টঃ গাজী তাহের লিটন