সৈয়দ রুবেল, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়নের এক জন ছাত্র কৃষক মোঃ আব্দুল্লাহ (২১)। বাড়ি থেকে কিছুদূর সামনেই দুইবিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। ফলন দেখে স্বপ্ন বুনতে
থাকেন তিনি। এপ্রিলের শুরুতেই পেকে যায় তাঁর ক্ষেতের ধান।
কিন্তু করোনাকালে শ্রমিক সংকট দেখা দেওয়ায় গ্রামের এই ছাত্র চাষী পড়েন বিপাকে। ধান কাটতে না পারার দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন তিনি। এদিকে আবহাওয়া খারাপ থাকায় তিন দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে ধান মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়া আশঙ্কা করছিলেন তিনি।
“সোনার বাংলা ব্লাড ব্যাংক” প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মামুন খান রাসেলের সাথে আলোচনা করলে,ঐ ছাত্র কৃষক আব্দুল্লার ধান কেটে দেয়ার আশ্বাস দেয়। তাৎক্ষণিক ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলে জেলা যুবলীগের সদস্য জিয়াউল করিম জয় ধান কেটে দিবে বলে কমেন্ট করেন ।
মামুন খাঁন রাসেল এবং জেলা যুবলীগের সদস্য শিক্ষক জিয়াউল করিম সুজন ধান কাটার জন্য তার বড় ভাই রেজাউল করিম সুমন একজন স্কুল শিক্ষক এবং তার ছোট ভাই শাওন ছাত্র তারা তিন ভাই সহ তার সহযোগী মাইনুল সহ প্রায় ২০ জন যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে আসেন এবং কৃষক আব্দুল্লাহ দুরবস্থার কথা শুনে দুই বিঘা জমির ধান কেটে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা।
২৮/০৪/২০২০ইং তসরিখ মঙ্গলবার সকালে নেতাকর্মীরা ধান কাটতে শুরু করেন । পাঁচ ঘণ্টায় তারা দের বিঘা জমির ধান কাটেন। পরে তারা আটি বেধে ওই কৃষের বাড়িতে ধান পৌছে দেন এবং বাকি জমির ধান কেটে দিবেন বলে আশ্বস্ত করেন। ধান কেটে দেওয়ায় খুশিতে ছাত্র কৃষকের মন ভরে যায় আব্দুল্লাহর ।
জিয়াউল করিম সুজন বলেন ঝালকাঠি জেলায় শ্রমিক সংকট দেখা দেওয়ায় কৃষকরা তাদের ধান কাটার শ্রমিক পাচ্ছে না। আমরা একটি টিম গঠন করেছি। যেখানেই শ্রমিক সংকট, সেখানেই আমরা উপস্থিত হয়ে কৃষকের ধান কেটে দিবো।
আব্দুল্লাহ বলেন, আমি গরিব মানুষ কোথাও ধান কাটার শ্রমিক পাচ্ছিলাম না। স্বেচ্ছাসেবক যুবলীগ এবং ছাত্রলীগ এসে আমার ধান কেটে বাড়িতে দিয়ে গেছে। আমি তাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ।