প্রত্যয় নিউজডেস্ক: সিলেটের কানাইঘাটে স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে (২৭) গলা কেটে হত্যার ঘটনায় স্বামী মরম আলীকে (২৮) গ্রেফতার করেছে র্যাব। শনিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-৯ এর একটি বিশেষ অভিযানিক দল।
শনিবার দিনগত রাতে র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি ওবাইন স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার সকালে কানাইঘাটের লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির কালিনগর আগফৌদ গ্রামে নিজ ঘর থেকে গলাকটা অবস্থায় ফাতেমা বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডের আলামত সংগ্রহ করে সিআইডির ক্রাইমসিন বিভাগের সদস্যরা। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী মরম আলী পলাতক ছিলেন।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে কানাইঘাট থানায় মরম আলীকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের মা কালিনগর আগফৌদ গ্রামের আব্দুল খালিকের স্ত্রী জলিকা বেগম। মামলায় মরম আলীর নাম উল্লেখ করে আরও ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশের পাশাপাশি আসামিকে গ্রেফতারে ছায়া তদন্ত ও অভিযান শুরু করে র্যাব-৯ এর একটি দল। শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে র্যাব-৯ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু মুসা মো. শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে র্যাবের একটি বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে মরম আলীকে গ্রেফতার করে।
এদিকে শনিবার বিকেলে নিহত গৃহবধূ ফাতেমা বেগমের ময়নাতদন্ত শেষে রাতে লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের জের ধরে গত বৃহস্পতিবার রাতে ফাতেমা বেগমকে তার বাবার বাড়ির শয়নকক্ষে শ্বসরোধ করে হত্যা করেন স্বামী একই গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে মরম আলী। এরপর তিনি তার গলা কেটে রক্তাক্ত লাশ ঘরের মেঝেতে রেখে পালিয়ে যান।
বছর খানেক আগে প্রথম স্বামীর ঘর থেকে এসে ফাতেমা বেগম বিয়ে করেন মামাতো ভাই মরম আলীকে। বিয়ের পর থেকে মরম আলী তার বাড়ি ছেড়ে শ্বশুর বাড়িতে ফাতেমাকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।