প্রত্যয় নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় পর্যায়ে এসে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে জার্মানিতে। এমতাবস্থায় ফেডারেল ও সকল রাজ্য সরকার নতুন সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বুধবার (২৮ অক্টোবর) চার ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা শেষে চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল ও রাজ্যপ্রধানরা আগামী ২ নভেম্বর (সোমবার) থেকে দেশব্যাপী লকডাউনসহ বেশকিছু কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
যার মধ্যে ২ নভেম্বর থেকে পুরা মাসব্যাপী রেস্তোঁরা-বার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়। ফিটনেস স্টুডিও, সুইমিং পুল বন্ধ থাকবে মাসব্যাপী। বিনোদন কেন্দ্র এবং সকল ইভেন্ট পুরো জার্মানিজুড়েই নিষিদ্ধ থাকছে নভেম্বর মাসে। তবে রেস্তোরাঁ, বার, থিয়েটার বন্ধ থাকলেও আপাতত খোলা থাকছে স্কুল।
বুধবার চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল সংবাদ সমেলনে বলেন, আমাদের সম্মিলিতভাবে কঠোর চেষ্টা করতে হবে যেন যেকোনো উপায়ে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে আসা যায়।
তিনি বলেন, নতুন সংক্রমণের সংখ্যা প্রথমে স্থিতিশীল রাখতে হবে এবং তারপর আরও কমাতে হবে। তবেই তা স্বাস্থ্যব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এছাড়াও জনগণকে অপ্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন চ্যান্সেলর ম্যার্কেল।
এদিকে দেশটিতে প্রতিদিন রেকর্ড সংখ্যক মানুষ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হচ্ছেন। মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) জার্মানিতে একদিনে ১৪ হাজার ৯৬৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা এখন পর্যন্ত দেশটিতে দৈনিক আক্রান্তের রেকর্ড। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিও কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন।
জার্মানিতে এখন পর্যন্ত প্রায় চার লাখ ৮০ হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন প্রায় তিন লাখ ৩৩ হাজার আর করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় সাড়ে ১০ হাজার জন।