নিজস্ব সংবাদদাতা: পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে ফুলগাজীর পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মধ্যরাতে, ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতদিয়া নামক স্থানে হঠাৎ মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। এতে করে এলাকার ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার। পানির স্রোত বেড়ে যাওয়ায় ফসলের ক্ষয় ক্ষতির আশংকা করছেন স্থানীয়রা। এদিকে, এলাকাবাসী জানালেন, বরাদ্ধ আর মেরামত করেই শেষ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ। স্থায়ী কোন সমাধান মিলছে না ।
গত তিন মাসের আগের প্লাবনের ক্ষত শুকোতে না শুকোতেই আকস্মিক এ বন্যায় দিশেহারা হয়ে পড়ছেন এলাকার মানুষ। বিস্তীর্ণ এলাকার ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, রাস্তাঘাট, পুকুর ভেসে যাচ্ছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য কালাম আজাদ জানান, শনিবার দুপুরে ভাঙ্গনের সম্ভাবনা দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা ভাঙ্গন ঠেকাতে বালির বস্তা তৈরি করে রেখেছিল।
রাত ১০টার দিকে ভাঙ্গন দেখা দিলে পূর্বে থেকে প্রস্তুতকৃত ৫০-৬০টি বস্তা ফেলে আপাতত সেই ভাঙন ঠেকিয়েছেন এলাকাবাসী। ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যান। এর আগে গত ১২ জুলাই মুহুরী নদীর ৬ স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার ১৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়। স্থানীয়রা জানান, পানি নেমে গেলে দায়সারাভাবে বাঁধ মেরামত করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে মুহুরী নদীতে পানির চাপ একটু বাড়তেই সেই বাঁধ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। আবারও সেই একই স্থানগুলোতে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কাশেম মোল্লা জানান, টেকসই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অভাবে প্রতিবছরই সীমাহীন দুর্ভোগের কবলে পড়ি আমরা। বৃষ্টি হলেই ভেসে যায় কোটি টাকায় নির্মিত মুহুরী-কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর বাঁধ। বন্যায় পানিবন্দি হলে অনেকে চিড়া-মুড়ি নিয়ে আসে। কেউ টেকসই বাঁধ নির্মাণ করে স্থায়ী সমাধানের কথা বলে না।