ফরাসি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন জানিয়েছেন, ধর্মীয় চরমপন্থা বন্ধের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছে। তিনি বলেছেন, ধর্মীয় চরমপন্থা বন্ধের অংশ হিসেবে ৭৬টি মসজিদকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদের’ উৎপত্তিস্থল বলে সন্দেহ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এক টুইট বার্তায় তিনি এ কথা জানান। এ নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা।
উগ্রপন্থী এক মুসলিম যুবকের হাতে রাজধানী প্যারিসে শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের পর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিস্তার ঠেকাতে কঠোর হয় ফ্রান্স সরকার। ছয় মাসের জন্য উত্তর পূর্ব প্যারিসের প্যানটিন মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় দেশটির একটি মুসলিম এনজিও বন্ধ করে সরকার। বন্ধ করে দেওয়ার সরকারি আদেশের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করে মসজিদ পরিচালনা কমিটি। এনজিওটি বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে সরকার জানায়, উগ্রপন্থী মুসলিমদের সঙ্গে সম্পর্ক এবং সন্ত্রাসবাদী হামলায় সমর্থন রয়েছে এর।
তাছাড়া সংস্থাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হিংসাত্মক ও বৈষম্যমূলক বার্তা ছড়াচ্ছে। অভিযোগ অস্বীকার করে এনজিওটির পক্ষ থেকেও আদালতে আবেদন করা হয়। সরকারের এ পদক্ষেপের সমর্থন দিয়ে আদালত জানায়, সহিংস ও বৈষম্যমূলক বার্তা ছড়ানোয় এনজিওটিকে বন্ধ করে দিতে সরকারের আদেশ যুক্তিযুক্ত। একই যুক্তি দেখিয়ে মসজিদটি বন্ধে সরকারের পদক্ষেপের সমর্থন জানিয়েছে আদালত। মসজিদ কমিটির সদস্যদের মন্তব্য এবং তারা যে ধরনের বিষয়ে আলোচনা করে তা সহিংসতা ছড়াতে পারে বলে অভিমত আদালতের।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শিগগিরই এই মসজিদগুলোতে তদন্ত শুরু হবে। যদি আমাদের সন্দেহগুলো সত্যি হয়, তাহলে সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে। ইতোমধ্যে মৌলবাদ সন্দেহে ৬৬ জন অনিবন্ধিত অভিবাসীকে নির্বাসিত করেছে ফরাসি সরকার।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁনের সরকার সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বেশ কয়েকটি মারাত্মক হামলার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ডারমানিন যা বলেছে ‘অভ্যন্তরীণ শত্রু’ রোধ করা, তা সেটিরই প্রতিশ্রুতি।
সুত্রঃ আলজাজিরা।