1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

দাঁতনেও জনজোয়ার, মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি অভিষেককেও নিশানা শুভেন্দুর

  • Update Time : রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৩৪৬ Time View

বিশেষ প্রতিবেদন,কলকাতা: পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন, ‘‘সিপিএমের ফেলা চটিতে পা গলিয়ে সাড়ে ৯ বছর সরকার চালিয়েছে।’ রবিবার দাঁতনের জনসভায় বিজেপি কর্মী–সমর্থকদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অনুগামী সমর্থকরাও। ফলে জনসভা রীতিমতো গমগম করেছে। সেখানেই শুভেন্দু চাঁছাছোলা ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, ‌‘‌প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাকে ‘‌বাংলা আবাস যোজনা’ লিখে চালিয়ে দিয়েছে। আমি সরকারের ভেতরে ছিলাম। আমি নিজের চোখে সব দেখেছি। সব দেখে এই সরকারের প্রতি, এই দলের প্রতি আমার ঘৃণা তীব্র হয়ে উঠেছিল। নিজেরা নতুন কোনও প্রকল্প নিয়ে আসতে পারেনি। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলোরই নাম বদলে দিয়ে বাংলার বলে চালিয়ে দিয়েছে। আমি সব দেখেছি।’‌

তাঁর কথায় উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যও। এদিনের সভায় শুভেন্দু গল্প করার ঢঙে বলেন, ‘‌আমি একজনের বাড়িতে কফি খেতে গিয়েছিলাম। আমি এসেছি শুনে তিনটে মেয়ে এলো। আমি তাদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম, বোন, সাইকেল পেয়েছ? তারা‌ বলল, কোন সাইকেলের কথা বলছ?‌ তোমরা তো সব‌ ভাঙা সাইকেল দিয়েছ!‌ সারাতেই আমাদের ৪০০ টাকা খরচ হয়ে গেছে। আমি বলেছিলাম, ওটা ভাতিজা ভেট!‌’‌ তার পরই শুভেন্দু কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক অনুগতদের। বলেন, ‘‌১০ হাজার টাকা কেজির চা খায় ওরা। আর ওরাই বলছে, শুভেন্দু অধিকারী নাকি পান্তা খায় না! ওরা কত জানে! যেন আমার ঘরে এসে ওরা সব দেখে গিয়েছে!’‌ ঠিক এই সভার আগেই এদিন ডায়মন্ড হারবারে সভা ছিল সেই বিতর্কিত তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখানে তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে ‘‌উপসর্গহীন ভাইরাস’‌, ‘‌বেইমান’‌ বলে কটাক্ষ করেন। নাম না করেও তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, ‘‌তৃণমূল থেকে পাল্টি খেয়ে, নিজের শিরদাঁড়া বিক্রি করে, মেরুদণ্ডহীন পাল্টিবাজ নেতা মেদিনীপুরের সভা থেকে আমাকে আক্রমণ করছে। বলছে, তোলাবাজ ভাইপো হঠাও।’ এখানেই থেমে যাননি তিনি। শুভেন্দুকে আক্রমণ করতে গিয়ে এক সময় ‘তুই–তুকারি’তেও চলে যান অভিষেক। তার পর ফের ‘তুমি’তে চলে আসেন। বলেন, ‘সাহস থাকে তো ভাইপোর নামটা বলে দেখো!’‌

এদিন দাঁতনের জনসভার আগে শুভেন্দু অধিকারী এক বিশাল পদযাত্রায় অংশ নেন। সেখানেও ‘‌তোলাবাজ ভাইপো হঠাও’‌ বলে আওয়াজ তোলেন শুভেন্দু। তবে অভিষেকের নাম একবারও নেননি তিনি। রবিবারের সভায় রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‌প্রাইমারি স্কুলে কালো কালো ছোলা দেয়। গরুও খায় না। ওতেও ভাতিজা ভেট আছে। স্যানিটাইজার ২২ টাকা করে নেয়। কিন্তু ১৩ টাকা দাম। সেখানেও কাটমানি আছে। আমফানের টাকা, একশো দিনের টাকা সব নিয়েছে তারা।’‌ শুধু এ কথাই নয়, শুভেন্দুর কথায় উঠে আসে স্তাবকদের মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দ করার প্রসঙ্গ। উদাহরণ হিসেবে নাম না করে রাজ্যের বেশির ভাগ মন্ত্রীই যে মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের মানুষ এবং তাঁরা সকলেই কলকাতার বাসিন্দা, সে কথাও উল্লেখ করেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, ‘‌মুখ্যমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, পঞ্চায়েতমন্ত্রী, পুরমন্ত্রী সব কলকাতার বাসিন্দা। আর আমরা কি বানের জলে ভেসে এসেছি?‌’ তার পরই চলে আসে শহর বনাম গ্রামের প্রসঙ্গ।‌

শুভেন্দু বলেন, ‘‌এই লড়াই গ্রামের লড়াই, জেলার লড়াই।’ তিনি বলেন, ‘‌উত্তর কলকাতা তথা পুরনো কলকাতাকে বলব সঙ্গ দিন, আপনাদের জেলা বাটখারা মন্ত্রী পেয়েছে। ৫০০ বছরের পুরনো শহর হাওড়াকে বলব সঙ্গ দিন, আপনাদের জেলা সমবায়মন্ত্রী পেয়েছে। পরে আবার বনমন্ত্রী।‌ কিন্তু ‌আমি কোনওদিন শুনিনি যে একজন অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী ওই শ্রেণির বাইরে অন্য লোক হয়েছে। কিন্তু মাঝে দেখি, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ওই দফতরের মন্ত্রী করে দেওয়া হয়েছে।’ ‌রাজ্যে দশ বছরে নতুন কর্মসংস্থান তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। শুধু তাই নয়, বেকারদের স্থায়ী সরকারি চাকরি দিতেও যে সরকার ব্যর্থ, এদিন শুভেন্দুর বক্তব্যে সে কথাও উঠে আসে। তিনি বলেন, ‘‌লক্ষ লক্ষ পার্মানেন্ট চাকরি তুলে দিয়ে কন্ট্র‌্যাকচুয়াল চাকরি করে দিয়েছে এই সরকার। সিপিএম তাও প্রত্যেক বছর এসএসসি–তে চাকরি দিত। কিন্তু এখন প্রাইমারি, টেট–এর ছেলেরাও চাকরি পান না। তাঁরাও চাকরির স্থায়ীত্বের জন্য আন্দোলন করছেন। পশ্চিমবঙ্গে ২ কোটি নতুন বেকার তৈরি করেছে বর্তমান শাসক দল।’

শুধু তাই নয়, অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক কর্মরতদের বেতন কাঠামো নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু। বলেন, ‌‘‌রাজ্যের সিভিক ভলান্টিয়ারদের মাইনে এখন এত কম যে, তাঁদের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে কোনও বাবাই রাজি হন না।’‌ তার পরই জনতার কাছে সরকার বদল করার দাবি করেন তিনি। বলেন, ‘‌বিজেপি ক্ষমতায় এলে সিভিক ভলান্টিয়ারদের এমন বেতন দেবে, যাতে তাঁদের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য মেয়ের বাবারা এগিয়ে আসবেন। বিজেপি কারও চাকরি খায়। চাকরি খাওয়ার দল নয় তারা।’‌ যুব সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছিল ভাইপোকে বসানোর জন্য দাঁতনের সভা থেকে স্পষ্ট হয়ে গেল শুভেন্দু তৃণমূলে যুব সভাপতির পদ থেকে অপসারণ মানতে পারেননি। তিনি এদিন সাফ জানান, যুব সভাপতি পদ থেকে তাঁকে সরানো হয়েছিল ভাইপোকে বসানোর জন্য। সৌমিত্র খাঁকে যুব সভাপতির পদে বসানো হয়েছিল নামকাওয়াস্তে। লোকচক্ষুতে যাতে না লাগে, তার জন্যই সৌমিত্রকে বসানো হয়েছিল ছ’মাসের জন্য।

এদিন শুভেন্দু অভিযোগ করেন, ‘তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পাশাপাশি তৃণমূল যুবার সংগঠন শুরু করা হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আনতে। ছ’মাসের মধ্যে সৌমিত্রকে সরিয়ে যুব সংগঠন আর যুবা সংগঠন মিলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যুব সংগঠনের মাথায় বসানো হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এটা ছিল অভিষেককে যুব সভাপতি করার পরিকল্পনা।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..