বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে প্রায় দুই ঘণ্টা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার হৃদ্যন্ত্রে ‘পেসমেকার’ বসানো হয়েছে।
রাজধানীর এভারকেয়ার হসপিটালের হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি দল মওদুদ আহমদের দেহে এই যন্ত্র বসান। এটি হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মওদুদ আহমদ ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে নেয়া হয়েছে।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় সূত্র জানায়, এর আগে গত ৫ জানুয়ারি মওদুদ আহমদের শারীরিক অবস্থার অবনতির খবরে গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠায় ছিলেন নিয়ে খালেদা জিয়া। তিনি মওদুদের চিকিৎসক দলের প্রধান অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের সঙ্গে তার চিকিৎসার বিষয়ে ফোনে কথা বলেন।
খালেদা জিয়া চিকিৎসক দলের প্রধান অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারকে বলেন, ‘আপনারা কি করেন? ঘোড়ার ঘাস কাটেন? উনার এই অবস্থা কেন?’
মওদুদ আহমদকে যথাযথ চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের তাগিদ দেন খালেদা জিয়া।
সূত্রটি আরও জানায়, মওদুদ আহমদ আগের চেয়ে ভালো আছেন। আগামী শনিবার দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে হাসপাতাল থেকে যুক্ত থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
মওদুদ আহমদের স্ত্রী হাসনা মওদুদ পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের মেয়ে। তিনি স্বামীর সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, মওদুদ আহমদের রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে গত ৩০ ডিসেম্বর তাকে এভারকেয়ার হসপিটালে ভর্তি করা হয়। গত ৫ জানুয়ারি তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তার পরিবারের সদস্যরা বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিয়ে যাওয়ার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নেন কিন্তু চিকিৎসকদের সায় না থাকায় তাকে বিদেশ নেয়া হয়নি।