বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দুর্নীতি-দুরাচারের সত্য কাহিনি এখন সরকারি দলের নেতাদের মুখ থেকেই বের হচ্ছে। ফলে দেশব্যাপী গণধিক্কার উঠেছে। এতে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সরকার।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে বলেই তারা বিএনপির যেকোনো কর্মসূচিতে আতঙ্ক বোধ করছে। সেজন্য এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে সরকার। ক্ষমতার দাপটে বিএনপিকে ঠেকাতে এবং বিএনপির কর্মসূচি বানচাল করতে কর্মসূচি শুরুর প্রাক্কালে নেতাকর্মীদের পাইকারি হারে গ্রেফতার করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, নিজেদের দুর্নীতি-দুরাচারের সত্য কাহিনি এখন সরকারি দলের নেতাদের মুখ থেকেই বের হচ্ছে। ফলে দেশব্যাপী গণধিক্কার উঠেছে। ফলে সরকার আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগের রাতে ভোটের মাধ্যমে নির্লজ্জভাবে দখলকৃত রাষ্ট্রক্ষমতা আঁকড়ে রেখে আওয়ামী সরকার এখন ফ্যাসিবাদের চরম মাত্রায় এসে উপনীত হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে রাজনীতির ময়দান থেকে সরিয়ে দিতে যেকোনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ওপর হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা যেন আওয়ামী সরকারের রুটিন ওয়ার্কে পরিণত হয়েছে। দেশকে বিরোধী দলশূন্য করার ধারাবাহিকতায় আজ জয়পুরহাটে বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতির সময় জেলা বিএনপির আহ্বায়কসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, মুক্তিপণ আদায়কে জাতীয় সংস্কৃতির অঙ্গে পরিণত করেছে। দেশব্যাপী দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, গ্যাস-বিদ্যুৎ ও বিশুদ্ধ পানির অভাব, সর্বোপরি করোনাভাইরাসের কারণে জনজীবনে যখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা, তখন সরকার তাদের ব্যর্থতা ঢাকতেই দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটকে রাখার হিড়িক চলছে।
ফখরুল আরও বলেন, এটি গণবিরোধী সরকারের চলমান নিরবচ্ছিন্ন দমন নীতিরই বহিঃপ্রকাশ। সব অপকর্ম ও অপশাসনের অবসান ঘটাতে জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ। জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ছেড়ে না দিলে অবৈধ সরকারের ক্ষমতার মসনদ যেকোনো মুহূর্তে ধসে পড়বে।
অবিলম্বে জয়পুরহাট জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার এবং তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।