ডেস্ক রিপোর্ট :
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার সহকারী কমিশনার, ভূমি (এসি ল্যান্ড) হিমাদ্রী খীসা করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ভৈরবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গত ১৭ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হন। তারপর থেকে তিনি হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। সোমবার রাতে এসি ল্যান্ডের করোনামুক্তির চূড়ান্ত রিপোর্ট আসে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘তার আক্রান্তের কারণে প্রশাসনের গতি কিছুটা কমে গিয়েছিল। কারণ করোনার সময়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এককভাবে সকল প্রশাসনিক কাজ করতে গিয়ে বিড়ম্বনার পড়েছেন। এতে আমাকেও কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুবনা ফারজানা বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩ উপজেলার মধ্য প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আক্রান্ত হয় একমাত্র হিমাদ্রী খীসা। এতে আমিসহ জেলা প্রশাসক নিজেও আতঙ্কিত ছিল। ভৈরবের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর নগরীতে করোনার সময়ে অনেক কাজ করতে হয়। প্রশাসনে আমরা দুজনই কাজ করি ভৈরবে। এ সময়ে হিমাদ্রী আক্রান্ত হওয়ায় আমার কাজ ও কষ্ট বেড়ে যায়। সারা দিন রাত কাজ করেছি। তার করোনা মুক্তের খবরে আমিও স্বস্তি পেলাম।’
এ বিষয়ে হিমাদ্রি খিসা বলেন, ‘ভৈরববাসীর কাজ করতে গিয়েই আমি করোনায় আক্রান্ত হই। তবে আমি চিন্তিত হইনি। কারণ আমার শরীরে করোনার কোনো লক্ষণ ছিল না। প্রথমে করোনায় আক্রান্তের খবরে কিছুটা ভয় পেলেও মনোবল শক্ত ছিল আমার। পরে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযারী বাসায় থেকে ওষুধ সেবন করেছি এবং সব নিয়মকানুন মেনে চলেছি। আমি ২০ দিন ঘরবন্দী হয়ে অস্বস্তিতে সময় কাটিয়েছি, টিভি দেখে আর বই পড়ে সময়টা পার করেছি। আশা করছি দুই এক দিনের মধ্যে কাজে ফিরব।’