বাংলাদেশে গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে ওষুধি ঘাসের ব্যবহার নতুন নয়। কিন্তু বায়োএক্টিভ কম্পোনেন্ট বিশ্লেষণের মাধ্যমে এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ঘাসের মাধ্যমে গবাদিপশুর প্রচলিত খাদ্যের কার্যকারিতা বৃদ্ধির পদ্ধতি দেশে প্রথমবারের মতো উদ্ভাবিত হয়েছে। এই উদ্ভাবন আগামীতে বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে ও সুস্থ-সবল প্রাণি ও মানবদেহ গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন অনুষদের পশু-পুষ্টি বিভাগের আয়োজনে দুগ্ধজাত গাভীর প্রচলিত খাদ্যের কার্যকারিতা বৃদ্ধি, নিরাপদ ও এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ দুধ উৎপাদনে ওষুধি ঘাসের প্রভাব বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ওই কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া, বাউরেসের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আবু হাদি নুর আলি খান, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট (প্রাণিসম্পদ) ড. মো. মেহেদি হোসাইন।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রধান গবেষক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল-মামুন। তিনি বলেন, আমরা প্রথমে দেশীয় ১১টি ঘাসের নির্বাচন করে তাদের থিন লেয়ার ক্রোমাটোগ্রাফ ও ডিপিপিএইচ-এর মাধ্যমে সেরা ৭টি ঘাস নির্বাচন করি। তারপর এদের বায়োএক্টিভ কম্পোনেন্ট নির্ণয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন ফর্ম যেমন- ফ্রিজ, শেড ও সান ড্রাইয়ের মাধ্যমে ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ ৬টি ঘাস নির্বাচন করি। খামারিদের জন্য ঘাসের সহজলভ্যতা ও খরচ বিশ্লেষণ বিবেচনা করে বায়োমাস ও খনিজ পদার্থের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে সেরা ৪টি ঘাস (আনারসের উচ্ছিষ্টাংশ, তেলাকুচার পাতা, সজিনার পাতা ও লেমন ঘাস) নির্বাচন করেছি।
তিনি জানান, তারপর আমরা বিভিন্ন ফর্মে এদের টোটাল ফেনোলিকসের পরিমাণ, গরুর দুধ উৎপাদন ও তাতে এন্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ, ফ্যাটি এসিড প্রোফাইল অ্যানালাইসিস করে শেড ড্রাই ফর্মে ভালো রেজাল্ট পেয়েছি। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে প্রধানমন্ত্রী যে উদ্যোগ নিয়েছেন সেটি সফল করতে ও পরোক্ষভাবে এএমআর-এর ভয়াবহতা থেকে মানবদেহকে রক্ষা করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে তিনি আশা প্রকাশ করেন।