বাংলাদেশের রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধু পরিবার সততা, মেধা ও সাহসের প্রতীক বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের সদস্যরা আগামীতে সোনার মানুষ তৈরি করবে।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চকে যারা এতদিন নিষিদ্ধ করে রেখেছিল তারাই এখন ৭ই মার্চ পালন করবে, বিএনপির এই সিদ্ধান্তকে আওয়ামী লীগ স্বাগত জানায়। কাদের মনে করেন, বিএনপির এ প্রচেষ্টা দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে ইতিবাচক আবহ তৈরি করবে।
বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা, বাংলাদেশ এক সূত্রে গাঁথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু সবার, তাকে মর্যাদার আসনে অভিষিক্ত করার অর্থই হচ্ছে দেশ ও স্বাধীনতার মূল্যবোধকে সম্মানিত করা।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু দিয়েছেন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র, ভৌগোলিক মুক্তি পক্ষান্তরে তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা দিয়েছেন অর্থনৈতিক মুক্তি এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্তির রোল মডেল। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি সমৃদ্ধ দেশে উন্নীত করতে এবং শেখ হাসিনার যে স্বপ্ন তা সফল করতে শিশুদের যোগ্য নাগরিক হয়ে গড়ে ওঠার আহ্বান জানান তিনি।
কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাই হবে নতুন প্রজন্মের রোল মডেল, অনুকরণীয় আদর্শ, তাদেরকে স্মরণ করেই এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ইতিহাসের পায়ে শিকল পরে রাখা হয়েছিল, করা হয়েছিল বিকৃত, তাই তরুণদের দেশ ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে।
বর্তমান বিশ্বে সেরা তিনজন রাষ্ট্র প্রধানের একজন শেখ হাসিনা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৭৫ পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যগণ কেউ গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেয়নি। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কেউ হাওয়া ভবন সৃষ্টি করেনি।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রকিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন মৎস্য ও পানিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, আনোয়ারুল আবেদিন তুহিন, সংগঠনের মহাসচিব মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এবং সাংগঠনিক সচিব কে এম শহীদুল্লাহ।