করোনাকালে উড়োজাহাজে যাত্রী পরিবহন কমেছে কয়েক গুণ। সম্প্রতি চলাচল বাড়তে শুরু করেছে। অপরদিকে করোনা প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে কার্গো প্লেনে পণ্য পরিবহন বেড়েছে। দেশীয় উড়োজাহাজগুলোর পরিচালন ব্যয়ের ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ যায় জ্বালানিতে। এমন অবস্থায় চার মাসের ব্যবধানে জেট ফুয়েলের দাম ২৫ শতাংশ বৃদ্ধিতে যাত্রী পরিবহন ভাড়ার পাশাপাশি কিছু জরুরি এবং কাঁচা-পচনশীল পণ্য পরিবহন খরচও বেড়ে যাবে। নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে।
দেশে জেট ফুয়েল বাজারজাত করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের আওতাধীন কোম্পানি পদ্মা অয়েল। গত বৃহস্পতিবার তেলের দাম সমন্বয়ে গঠিত কমিটির মাসিক সভায় ‘জেট ফুয়েল এ ওয়ান’-এর দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। গত ১০ মার্চ থেকেই নতুন মূল্যহার কার্যকর ধরা হয়। এর ফলে জেট ফুয়েলের দাম গত ফেব্রুয়ারিতে বাড়ানো ৫৫ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৬০ টাকা হয়। এর আগে জানুয়ারিতে ৫৩ টাকা এবং ডিসেম্বরে ৪৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল এ জ্বালানির দাম।
এ প্রসঙ্গে বিপিসির পরিচালক (পরিচালন ও পরিকল্পনা) সৈয়দ মেহদী হাসান বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ছে। তার সঙ্গে সমন্বয় করেই জেট ফুয়েলের দাম বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন :কক্সবাজারে কনসার্টে যাওয়ার পথে ২ মিউজিশিয়ান নিহত
উড়োজাহাজে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে জড়িতরা এ দামবৃদ্ধিকে অযৌক্তিক দাবি করে বলছেন, আন্তর্জাতিক মূল্যহারের চেয়ে বাংলাদেশে জেট ফুয়েলের দাম বেশি। এটি পরিবহন খরচ বাড়িয়ে দেবে। শুধু দেশের ভেতরে পরিবহনে প্রতি ভ্রমণে জনপ্রতি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা খরচ বাড়বে। তবে তারা একবারে না বাড়িয়ে ধাপে ধাপে বাড়াবেন।
আরও পড়ুন :কাঁদলেন সাবিনা ইয়াসমীন ও ভাগনে আগুন