যুক্তরাজ্যে ভ্যাকসিন রফতানি বন্ধ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন দেয়ার লায়েন। টিকাদান কর্মসূচি নিয়ে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে এই ইঙ্গিত দেন তিনি। এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য। ইইউ-এর কাছে এর ব্যাখ্যা দাবি করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট বলেন, টিকাদান কর্মসূচিতে গতি আনার চেষ্টায় রয়েছে ইউরোপ। এমন প্রেক্ষাপটে যেসব দেশ টিকা বিনিময় করছে না (কেবল আমদানি করছে, নিজেদের টিকা রফতানি করছে না), কিংবা ইতোমধ্যেই যারা নিজেদের দেশে উচ্চহারে টিকা দিতে সমর্থ হয়েছে, সেসব দেশে টিকা রফতানি বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন : কমলা হ্যারিসের বাসভবনের সামনে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ একজন আটক
ব্রাসেলসে সাংবাদিকদের উরসুলা ফন দেয়ার লায়েন বলেন, ‘আমরা হিসেব করে দেখেছি যে গত ছয় সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে এক কোটি ডোজ টিকা রফতানি করা হয়েছে।‘ তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উৎপাদন করছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে আমাদের চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাজ্যের দুটি স্থান থেকে ইইউতে টিকা রফতানির কথা রয়েছে।
‘ভ্যাকসিন বিনিময়ের ব্যাপারে আমরা খোলাখুলি অবস্থান নিতে চাই। পরিস্থিতি যদি না বদলায়, তখন আমাদের বিবেচনা করতে হবে ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী অন্য কোন দেশগুলো স্পষ্ট ও স্বচ্ছ অবস্থান নিতে চায়।‘ লিয়েন বলেন, ভ্যাকসিন উৎপাদন করা অনেক দেশেই আমরা টিকা রফতানি করছি। আর আমরা মনে করি এটা একটা স্বচ্ছতার আমন্ত্রণ, আর আমরা আশা করছি সেসব উৎপাদক দেশ থেকেও কিছু ভ্যাকসিন ইউরোপীয় ইউনিয়নে ফিরে আসবে।‘
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমিনিক রাব বলেন, ‘আমি মনে করি এর কিছু ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে কারণ দুনিয়া দেখছে… সত্যি করে বলি, আমি বিস্মিত যে আমাদের এসব নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে।‘
আরও পড়ুন : বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের মামলা