রংপুরে মুক্তাপানি ও বিভিন্ন কোম্পানীর নামে ভুয়া কর্মী নিয়োগের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎকারী প্রতারক গ্রেফতার

রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ রংপুর নগরীর মুক্তাপানি সহ বিভিন্ন ভুয়া কোম্পানীতে এজেন্ট নিয়োগের নামে রংপুর মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ৫০০ (পাঁচশত) ব্যক্তিকে চাকরি দেওয়ার নামে প্রায় ৪ (চার) কোটির অধিক টাকা আত্মসাৎকারী প্রতারককে গ্রেফতার করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশ।

গত বছর ২০২০ সালে মুক্তাপানি ও টিএমএফ (তরিকুল, মোতালেব, ফিরোজ) ট্রেডার্স লিমিটেড নামে কোম্পানীর ভুয়া এজেন্ট নিয়োগের জন্য রংপুর বিভাগের সাতটি জেলা ও উপজেলায় (লালমনিরহাট, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, বিরামপুর) অফিস চালু করেন। তাদের মধ্যে গ্রেফতার করা হয় তরিকুল ইসলামকে। পরবর্তীতে আসামী তরিকুল ইসলাম তার সহযোগীদের দ্বারা মুক্তাপানি ও টিএমএফ (তরিকুল, মোতালেব, ফিরোজ) ট্রেডার্স লিমিটেড কোম্পানীর এজেন্ট নিয়োগ দেওয়া হবে মর্মে পত্রিকায় ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

তাদের প্রকাশিত ভুয়া বিজ্ঞপ্তি দেখে রংপুর নগররী সহ রংপুর বিভাগের জেলা ও উপজেলার প্রায় পাঁচ শত ব্যক্তি মুক্তা কোম্পানিতে চাকরির জন্য আবেদন করে। এরপর প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে থেকে ৫০ হাজার টাকা করে গ্রহণ করে। এভাবেই তরিকুল ও তার সহযোগিরা পর্যায়ক্রমে প্রায় ৪ (চার) কোটিরও অধিক টাকা আত্মসাৎ করে ।

গত জানুয়ারি মাসে তরিকুলের নামে রংপুর কোতোয়ালি থানায় প্রতারণার অপরাধে মামলা দায়ের হয়। পরবর্তীতে পুলিশ কমিশনার, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ এর নির্দেশক্রমে মেট্রো ডিবি এর নিকট মামলাটি হস্তান্তর হয়।
রংপুর মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশ দায়ের করা মামলাটি তদন্ত করে প্রতারক তরিকুল ও তার অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান অব্যহত রাখেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার (১৯ মার্চ) উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) জনাব কাজী মুত্তাকী ইবনু মিনান এর নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি) জনাব মোঃ ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক জনাব এ বি এম ফিরোজ ওয়াহিদ, এসআই (নিঃ) গোলাম মোর্শেদসহ ডিবি পুলিশের একটি চৌকস দল বগুড়ার শিবগঞ্জের কালিতলা বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তরিকুলকে গ্রেফতার করে।রংপুরে নিয়ে আসেন।

গ্রেতারকৃত মোঃ তরিকুল ইসলাম বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চায়না কোম্পানীসহ বিভিন্ন বেনামী কোম্পানী এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/অফিসে (বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড) নিয়োগ দেয়ার নামে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এমনকি ঢাকায় তার একটি বিলাসবহুল বাসভবনও রয়েছে।

রংপুর মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশ বিশেষ ব্রিফিংয়ে জানান, উক্ত অপরাধের সাথে জড়িত অন্যান্য অপরাধীদেরও তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হবে। মামলাটির সার্বিক তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

রিপোর্টঃ মোঃ সোলেমান হোসেন শ্রাবণ,রংপুর।