ফাতেমা ফেরদৌস রেসিম,লন্ডন,ইউকে:
আমি তাকিয়ে দেখলাম তার পাশে কেউ নেই, এখন সত্যিই আমি ভয় পেয়ে গেলাম, এরকম চলতে থাকলে তো হবেনা, আমার প্রতিবেশী একজন বাঙ্গালী মহিলার সাথে একটু পরিচয় হলো, জানতে চাইলাম এ বাসায় আগে কে থাকতো, তিনি বললেন এই বাসায় কতো মানুষ আসে যায় কিন্তু কারো সাথে কখনো কথা হয়নি বেশীর ভাগই ইংলিশ লোক আসতো, তবে তারা বেশী দিন থাকতো না, বড় জোর এক মাসের মতো, আমি দুপুরে অপটিশিয়নে গেলাম বড় ছেলের চশমার জন্য , যখন রিসেপশনিস্ট মেয়েকে আমার ঠিকানা বললাম সে বলে উঠলো , আরে ঐ বাসায় তুমি আছো এখন? আমরাও ছিলাম, তখন সুযোগ পোলাম বললাম কতদিন ছিলা? সে বললো এক মাসের মতো?
আমি বললাম কেনো গেছিলা ঐ বাসায়? সে জানালো তাদের আগের বাসায় আগুন লাগার কারনে, তাদেরকে এনেছিল কদিনের জন্য, আমি পরে বললাম তাহলে কি তোমার আগের বাসা ঠিক হয়ে গেছে, সে বললো না, তখন আমি বললাম তাহলে এই বাসা ছাড়লে কেন? মনে হলো সে কিছু লুকাতে চাইছে, আমাকে শুধু বললো… তাদেরকে আরেক বাসায় নিয়ে গেছে, কিন্তু পুরো ঘটনা না বলে আমাকে ইগনোর করে অন্য কাজে ব্যাস্ত হয়ে গেলো, ঘরে এসে মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে সারাদিনের সবার কথা গুলো, এমন সময় মেয়ে উপর থেকে দৌড়ে এসে বললো …. মা এটা ভূতের বাড়ী আমি মেয়েটাকে আবার দেখেছি, এবং তার রুমের জানালা লাগানো এর মাঝেও জোরে বাতাস দিলে যেভাবে পর্দা ওড়ে সেভাবে পর্দা উড়ছিল নাকি, প্রচন্ড ভয় পেয়ে মেয়ে বলতে লাগলো, আমি বললাম তুমি পুতুল নিয়ে খেলছো এজন্য এরকম দেখেছো, আসলে কিছুই না, যাও কিছু না ঐসব বলে তাকে সাহস দিলাম, কিন্তু নিজেও ভাবতে লাগলাম কি করা যায়!!
এভাবে কতোদিন থাকবো এখানে! যেটা বুঝতে পারছি যে সেই ভূতুড়ে মেয়েটা আমাদেরকে ভয় দেখিয়ে তাড়াতে চাচ্ছে, মেয়েকে সাহস দিয়ে উপরে পাঠালাম,সে উপরে গিয়ে ইংলিশ ছবির মতো চেক করার জন্য নিজে নিজে বললো যদি সত্যি ভূত থাকে এই বাড়ীতে তাহলে ঘড়ির কাঁটা উল্টো ঘুরে দেখাবে, আশ্চর্য মেয়ে যখন ঐ কথা বললো তখন …………..চলবে
লেখিকা:ফাতেমা ফেরদৌস রেসিম,লন্ডন