ডেস্ক রিপোর্ট :
শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয়েছিল ১৯৮৬ সালে সিলেট শহর স্কুল (বর্তমান সিলেট সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়) ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে।
এরপর ১৯৮৭ সালে সিলেট এম.সি কলেজ ছাত্রলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত সিলেট জেলা ছাত্রলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৩ সালে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ১৯৯৭ সালে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
২০০৪ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০১২ইং সালে সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।
ছাত্ররাজনীতির দীর্ঘ সময়ে তিনি এরশাদ বিরোধী আন্দোলন, বহুজাতিক তেল-গ্যাস কম্পানী “সিমিটা’র” বিরুদ্ধে আন্দোলন, সৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিলা হলের (জাহানারা ইমাম) নামকরন নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তির পায়তারা প্রতিহত করতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল সংগঠনকে নিয়ে আন্দোলন সহ বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহন করেন এবং নেতৃত্বদান করেন। যার ফলশ্রুতিতে বারবার কারাবন্দী হন তিনি।
সর্বশেষ ২০০৭ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংগ্রাম ও আন্দোলনের অভিযোগে আবারও কারাবরণ করতে হয় তাকে।
রাজনীতি ছাড়াও জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন অঙ্গনে রয়েছে তার সম্পৃক্ততা এবং পারিবারিক ভাবেও রয়েছে বেশ সুনাম। শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের আরেকটি বড় পরিচয় হল, তিনি এ উপমহাদেশের প্রখ্যাত ওলিয়ে কামিল আল্লামা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বিশকুটি (রহ.) এর দৌহিত্র।
বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মেডিক্যাল কমিটি’র চেয়ারম্যান, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রি’র পরিচালক, সিলেট এপার্টমেন্ট এন্ড রিয়েল এস্টেট গ্রুপ (সারেগ) ও জাস ইন্সটিটিউট এর সভাপতি এবং বিভাগীয় ক্রিড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও তিনি মুসলিম সাহিত্য সংসদ, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, জালালাবাদ অন্ধ কল্যাণ সমিতি, ডায়াবেটিক সমিতি’র মত বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথেও যুক্ত আছেন ।