1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

#একমাসের_বাড়ী ( সত্য ঘটনা অবলম্বনে ভূতুড়ে গল্প) #৫ম_পর্ব

  • Update Time : রবিবার, ১০ মে, ২০২০
  • ২৩৫ Time View

ফাতেমা ফেরদৌস রেসিম,লন্ডন,ইউকে:

আশ্চর্য ঠিক তখনই ঘডির কাঁটা ক্লকওয়াইজ না ঘুরে উল্টোদিকে কয়েক সেকেন্ড ঘুরে আবার সঠিক ভাবে চলতে শুরু করলো!! তবে সেটা আমি দেখিনি, আমার মেয়ে দেখেছে এবং সে রুমে বসে চিৎকার করে আমাকে ডাকলো, আমি দৌড়ে উপরে গেলাম, মেয়ের সাথে ছোটো ছেলেও রুমে ছিল, আমাকে বললো সব কিছু ! আমি বললাম বেশী ভূতের ড্রামা দেখেছো আর পড়েছে বইয়ে তাই এমন দেখেছো, এসব কিছুই না সব তোমার ইমাজিন্যাশন, মেয়ে কান্না শুরু করে দিলো এবং বললো….. মাম ইউ ডোন্ট ট্রাস্ট মি, বাট ইট ওয়াজ ট্রু!!!

ভিতরে ভিতরে আমি মেয়েকে বিশ্বাস করলেও তা মুখে প্রকাশ করলাম না, ধমক দিয়ে তাকে নীচে নিয়ে এলাম, সেই রাতে মেয়ে তার রুমে আর ঘুমাতে চাইলোনা, ছেলেদের রুমটা মাস্টার বেড রুম ছিল তাই সিঙ্গল বেড ঐ রুমে দিয়ে মেয়ের বিছানা করে দিলাম ছেলেদের সাথে, আরেকটা কথা প্রথম রাতে যে শব্দ শুনেছিলৈম ঐরকম শব্দ না হলেও প্রতি রাতে নীচে হাটহাটির শব্দ পেতাম, এবং ঠিক রাত ১২টা থেকে ১টার মধ্যে প্রতিদিনই বাচ্চাদের ঘুম ভেঙ্গে যেতো, আর উঠে টয়লেটে যেতো, আমার রুমের দরজা খোলা থাকতো বলে আমি দেখতাম, এতো কিছুর পরও আমি কিন্তু একলা থাকতাম আমার রুমে, রাতে প্লান করলাম বেশ কদিন বাচ্চারা স্কুল মিস করেছে তাই কাল থেকে স্কুলে দেবো, ঘরে থাকলে আমি কাউকে এই ঘরের ঘটনা বলতে পারবোনা, কারন বাচ্চারা শুনে ভয় পাবে, পরদিন সকালে বড় তিনটা স্কুলে গেলো,

আমি ছোটোটাকে নিয়ে ঘরে, ফোন করলাম আমার এক বান্ধবী Khaleda Khatun কে , এবং সমস্ত ঘটনা বললাম, সে আমাকে একজন মেছাব/ হুজুররে কথা বললো যে এস্তেখারা করে দেখো কি ঘটনা ঐ বাসায়, আমি ফোন নাম্বার নিয়ে হুজুরকে কল দিলাম, বান্ধবী হুজুর/ মেছাবকে মামা ডাকতো , আমিও মামা সম্বোধন করে সব ঘটনা বললাম, তিনি ঘরের ঠিকানা এবং বর্ণনা নিলেন, বললেন আজ রাতে এস্তেখারা করবেন এবং আমাক জানবেন ঘটনা কি! এরপর আমি কাজে লেগে গেলাম, মানে দেয়ালে ঘড়ি নেই তাই লাগানোর জন্য লোহা যতই ওয়ালে বসাতে চাই হাতুড়ী দিয়ে ততবারই সেটা ছিটকে পড়ে যায়, ভাবলাম এপাশের ওয়াল শক্ত বেশী ঐপাশে যাই, কিন্তু বার বার সমান অবস্থা ,লোহাটা ওয়ালে গাঁথার সাথে সাথে মনে হচ্ছে কে কে যেনো সেটা ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছে, তখন মনে মনে আল্লাহর নাম নিয়ে আর বললাম আল্লাহকে…. খোদা তোমার উপরে কিছু নেই ,তুমি সাহায্য করো আমাকে বলে বিসমিল্লাহ বলে লোহাটাকে যখন হাতুড়ী দিয়ে গাঁথলাম তখন সেটা টিকে গেলো, এর আগে পর্যন্ত কম করে হলেও ৬/৭ বার কে বের করে ফেলে দিচ্ছিল মনে হচ্ছিলো, এরই মাঝে আবারও

এক ঝলক ঐ মেয়েটাকে দেখলাম , কিন্তু প্রতিবারই সমান সাদা হাটু অবধি ফ্রক কাধ বরাবর চুল, মুখের অংশটা দেখা যায় না কালো অন্ধাকারের মতো, এতো দৌড়ে অদৃশ্য হয় যে ভাল করে দেখা যায় না, ঘড়ি টাগানো হলে উপরের প্যাসেজে দুটো ক্যানভাস লাগনোর জন্য গেলাম, এখানেও সেই সমস্যা লোহা গাঁথা যাচ্ছেনা,তাই আবার ও বিসমিল্লাহ বলে শুরু করলাম কাজ হলো, এক পাশ শেষ করে প্যাসেজের আরেক পাশে গেলাম ছবি আর হাতুড়ী মাটিতে রেখে চেয়ারটা অন্য পাশে নিলাম যেটার উপর আমি উঠে লোহা গাড়বো, পাশ ফিরিয়ে ছবি নিয়ে রাখলাম মাটিতে , লোহা হাতে নিয়েছি , হাতুড়ীটা শুধু হাতে নেবো কিন্তু…………চলবে

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..