করোনার ভয়ে টোকিও অলিম্পিক থেকে সরে দাঁড়াল উত্তর কোরিয়া। আসন্ন আসর থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয়া প্রথম দেশ তারা। উত্তর কোরিয়ার এই সিদ্ধান্ত অন্য দেশগুলোকেও প্রভাবিত করতে পারে। ফলে ক্রীড়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় আসর আয়োজনে জাপান ফের অনিশ্চয়তার মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এক ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, গত ২৫ মার্চ মিটিংয়ের পর করোনার এই সময়ে ক্রীড়াবিদদের সুরক্ষার স্বার্থে অলিম্পিকে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
এমনিতেই এক বছর পিছিয়ে গেছে অলিম্পিকের এবারের আসরটি। ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এটি। কিন্তু করোনার কারণে সেটি পিছিয়ে ২০২১ সালের জুলাইয়ে আনা হয়।
আয়োজকরা নানা প্রতিবন্ধকতা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন।ক্রীড়াবিদদের সুরক্ষার কথা ভেবে বিদেশি দর্শকদের নিষিদ্ধ করার কথা জানিয়েছেন ইতিমধ্যে।কিন্তু নতুন করে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আবারও ঝুঁকির মুখে পড়ে গেছে টোকিও অলিম্পিক।
জাপানে ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়াও খুব ধীরগতিতে চলছে। এমন সময়ে টোকিও অলিম্পিক আয়োজন কতটা দূরদর্শী হবে, সেই প্রশ্নও উঠছে দেশটির সাধারণ মহলের পক্ষ থেকে। এর মধ্যেই এলো উত্তর কোরিয়ার সরে যাওয়ার খবর।
যদিও জাপানের অলিম্পিক কমিটি মঙ্গলবার জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে তারা অলিম্পিকে অংশ না নেয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বার্তা পাননি।