ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের রেকর্ডবুকে বসে গেলো বাংলাদেশ দলের নাম। টেস্ট ক্রিকেটে এই মাঠের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড এখন বাংলাদেশ দলের দখলে। তৃতীয় দিন সকালে রেকর্ডটি নিজেদের করে নিতে একদমই সময় নেননি লিটন দাস ও মুশফিকুর রহীম।
বৃহস্পতিবার আলোকস্বল্পতার কারণে দ্বিতীয় দিন হারিয়ে যায় ২৫ ওভার। না হয় গতকালই রেকর্ডবুকে নাম তুলে ফেলতে পারত বাংলাদেশ। তবে সেদিন না হলেও, আজ দিনের দ্বিতীয় ওভারেই ভারতের করা ৪৮৭ রানের রেকর্ড ভেঙে পাল্লেকেলের মাঠে সর্বোচ্চ রান করে ফেলেছে বাংলাদেশ।
নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হকের সেঞ্চুরির সুবাদে ৪ উইকেটে ৪৭৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। আজ ধনঞ্জয় ডি সিলভার করা প্রথম ওভারেই জোড়া চারের মারে ১২ রান। পরের ওভারের শেষ বলে তিন রান নেয়ার মাধ্যমে ভারতের ৪৮৭ রানকে টপকে যায় বাংলাদেশ।
২০১৭ সালের শ্রীলংকা সফরে পাল্লেকেলে টেস্টে ৪৮৭ রানে অলআউট হয়েছিল ভারত। এতদিন ধরে এই মাঠে এটিই ছিল টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড। চার বছর পর পাল্লেকেলেতে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমেই রেকর্ডটি নিজের করে নিলো মুমিনুল হকের দল।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দলীয় সংগ্রহটা পাঁচশ রানে নিয়ে গেছেন মুশফিক ও লিটন। ইনিংসের ১৬০ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ঠিক ৫০০ রান। মুশফিক-লিটনের পঞ্চম উইকেট জুটির সংগ্রহ অবিচ্ছিন্ন ৭৬ রান। ক্যারিয়ারের ২৩তম ফিফটি করে মুশফিক খেলছেন ৫১ রানে, লিটনের নামের পাশে রয়েছে ৪৩ রান।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করে নাজমুল শান্ত আউট হয়েছেন ৩৭৮ বলে ১৬৩ রানের ইনিংস খেলে। অধিনায়ক মুমিনুল পেয়েছেন দেশের বাইরে নিজের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা। তিনি আউট হয়েছে ৩০৪ বলে ১২৭ রান করে। এর আগে প্রথম দিন ৯০ রান করে আউট হন তামিম ইকবাল।
পাল্লেকেলেতে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ
১/ বাংলাদেশ – ৫০০/৪* বনাম শ্রীলংকা (২০২১)
২/ ভারত – ৪৮৭/১০ বনাম শ্রীলংকা (২০১৭)
৩/ অস্ট্রেলিয়া – ৪১১/৭ বনাম শ্রীলংকা (২০১১)
৪/ পাকিস্তান – ৩৮২/৩ বনাম শ্রীলংকা (২০১৫)
৫/ পাকিস্তান – ৩৮০/৮ বনাম শ্রীলংকা (২০১২)