রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহীর বাগমারায় পুকুর পাহারাদার আব্দুল সালামকে হত্যার মুল নেতৃাত্ব ছিল নারী শিরিন বেগম (৩৫) । ওই নারী গ্রেপ্তারের পর হত্যার দায় শিকার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
রোববার সকালে নিহতের আব্দুস সালামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বাগমারা থানা গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ সাজুরিয়া গ্রামের পূর্ব পাশে যশের বিলে মনিরুল ইসলামের পুকুরের পশ্চিম পাড়ে একটি টিনের ঘরের মেঝেতে তাকে হত্যা করা হয়। নিহত সালাম সাজুরিয়া গ্রামের সাহাবুলের পূত্র। এ ঘটনায় মুল নেতৃত্বকার ীশিরিন বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে তিনি উল্লেখ করেন, পরকীয়ার জের ধরে তার নেতৃত্বেই সালামকে হত্যা করা হয়। এতে আরও তিন ব্যক্তি অংশ নেন। তারা হলেন, বাগমারা থানার সাজুড়িয়া গ্রামের কেফা, সেলিম ও রুস্তম। সোমবার দুপুরে শিরিন আদালতে জবানবন্দি দেন।
পুলিশ জানায়, নিহত সালামের গলায় রশি এবং ফাঁসের দাগ ও রক্তাক্ত অবস্থায় মরদেহ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে তার স্ত্রী বাগমারা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মৃত আব্দুস সালাম যশের বিলে মনিরুল ইসলামের পুকুরে পাহারাদার হিসেবে কাজ করতেন।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতে খায়ের আলম জানান, এ হত্যাকান্ড গুরুত্বের সাথে নিয়ে পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনায় তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে থানা পুলিশ। তদন্তের এক পর্যায়ে গোপন সূত্রে রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন দেবের নেতৃত্বে পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত শিরিন বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর সোমবার ওই নারী হত্যাকান্ডের বিষয়ে রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জল মাহমুদের আমলী আদালত-২ এ ফোজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন।
শিরিন বেগম জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন, প্রায় দুই বছর ধরে তালাকপ্রাপ্ত শিরিন বেগমের সাথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আব্দুস সালাম অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। কিন্তু শিরিন বিয়ের কথা বললে সালাম কৌশলে এড়িয়ে যেত। গত ৯ মে যশের বিলের মনিরুলের পুকুর পাড়ের একটা ঘরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে সালামের সঙ্গে শিরিন শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয়।
এর পর শিরিন বিয়ের কথা বললে সালাম রাগান্বিত হয় ও তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে শিরিন কাঠের বাটাম দিয়ে সালামের মাথায় আঘাত করে ও পরিকল্পিতভাবে ঘটনাস্থলের আশেপাশে থাকা শিরিনের পরিচিত তিনজন মিলে সালামকে গলায় রশি পেচিয়ে হত্যা করে। সালামকে বিয়ে করার জন্য ওই তিনজনকে ডেকে এনেছিল শিরিন।